নাপোলির খেলায় বিরক্ত মেসিদের কোচ

গোটা ম্যাচে বার্সেলোনাকে এভাবেই আটকেছেন নাপোলির খেলোয়াড়েরা। ছবি : এএফপি
গোটা ম্যাচে বার্সেলোনাকে এভাবেই আটকেছেন নাপোলির খেলোয়াড়েরা। ছবি : এএফপি
>গত রাতে নাপোলির মাঠে গিয়ে ১-১ গোলে ড্র করে এসেছে বার্সেলোনা। নাপোলির অতি-রক্ষণাত্মক মানসিকতার সমালোচনা করেছেন বার্সেলোনার কোচ কিকে সেতিয়েন

কিকে সেতিয়েন এমনিতে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পূজারি বলেই পরিচিত।

এর আগে রিয়াল বেতিস বা লাস পালমাসের ম্যানেজার যখন ছিলেন, দলকে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। নিজেকে ইয়োহান ক্রুইফের ভাবশিষ্য মনে করেন বার্সেলোনার নতুন কোচ। সেই আক্রমণাত্মক কোচের কাছে ফুটবল খেলার রক্ষণাত্মক ধরন তো বাজে লাগবেই। যেমনটা লেগেছে গত রাতে নাপোলির বিপক্ষে।

গত রাতে নাপোলির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। ম্যাচটা জেতা হয়নি মেসিদের, ১-১ গোলে ড্র করে এসেছেন তাঁরা। প্রথমে নাপোলির বেলজিয়ান স্ট্রাইকার ড্রিস মের্টেনসের গোলে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনাকে উদ্ধার করেন ফরাসি স্ট্রাইকার আতোয়ান গ্রিজমান। তবে কিকে সেতিয়েন মনে করেন, নাপোলি অতি-রক্ষণাত্মক না খেললে আরও গোল হতে পারত ম্যাচটায়, ‘তাঁরা সব সময় তাঁদের অর্ধেই ঘোরাফেরা করেছে। নিজেদের দশ জন খেলোয়াড় দিয়ে শুধু রক্ষণ কাজ করে গেছে। এটাও সত্যি কথা যে আমরাও বিশেষ ভালো খেলিনি, পর্যাপ্ত গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারিনি। কিন্তু তাও আমরা খেলার গতিপথ নির্ধারণ করার জন্য জায়গা সৃষ্টি করেছি।’

বার্সা ম্যাচটায় ভালো না খেললেও সেতিয়েন বিশেষ ভুল কিছু বলেননি। কার্লো আনচেলত্তিকে হটিয়ে এই মৌসুমের মাঝপথে কোচ করে জেনারো গাত্তুসোকে নিয়ে এসেছে নাপোলি। গাত্তুসো নিজে খেলোয়াড়ি জীবনে বিশ্বের অন্যতম সেরা রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার ছিলেন। আক্রমণের চেয়ে রক্ষণকেই গুরুত্ব দিয়ে গেছেন বেশি। নাপোলির কোচ হওয়ার পর নাপোলির খেলার ধরনটাও বদলে দিয়েছেন অনেকটা। মরিজিও সারির অধীনে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলা নাপোলি এখন রক্ষণকাজকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। একটা ছোট্ট তথ্যের মাধ্যমে গাত্তুসোর খেলানোর ধরনটা বোঝানো যাবে। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনজন খেলোয়াড়কে নাপোলিতে এনেছেন তিনি। এদের মধ্যে দুজন রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার (জার্মান মিডফিল্ডার ডিয়েগো ডেমে ও স্লোভাকিয়ার মিডফিল্ডার স্তানিস্লাভ লোবোতকা) ও একজন ডিফেন্ডার (আমির রহমানি)। আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় হিসেবে যাকে ধারে এনেছেন (ইন্টার থেকে মাত্তেও পলিতানো), তাঁকে নিয়মিত খেলানোই হয় না গাত্তুসোর!

প্রথম লেগে ড্র করলেও দ্বিতীয় লেগের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সেতিয়েন। সেতিয়েনের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে একটা তথ্য, দ্বিতীয় লেগের খেলা হবে বার্সেলোনার নিজের মাঠে। এর আগে দুবার বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে যখনই বিদায় নিয়েছিল, দ্বিতীয় লেগ হয়েছিল অন্যের মাঠে (২০১৯ সালে লিভারপুল, ২০১৮ সালে রোমা)। এ জন্য নাপোলিকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে ওঠার ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী সেতিয়েন, ‘আমার কাছে আজকের ফলাফল ইতিবাচক মনে হয়েছে। কারণ পরের লেগটা আমরা নিজেদের মাঠে খেলতে যাচ্ছি।’

অতিরিক্ত হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় পড়ে পরের লেগে আর্তুরো ভিদাল ও সার্জিও বুসকেটসকে পাবে না বার্সেলোনা। চোটের কারণে হয়তো খেলা হবে না ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকেরও।