বিশ্বসেরা খেলোয়াড় বানানোর মিশনে মেসিরা

গ্যাটোরেডের বিজ্ঞাপনে এভাবেই দেখা গেছে মেসিকে। ছবি : ইউটিউব থেকে নেওয়া
গ্যাটোরেডের বিজ্ঞাপনে এভাবেই দেখা গেছে মেসিকে। ছবি : ইউটিউব থেকে নেওয়া
>বিশ্বখ্যাত ‘স্পোর্টস ড্রিংক’ গ্যাটোরেডের নতুন বিজ্ঞাপনচিত্রে দেখা গেছে ফুটবল তারকা লিওনেল মেসিকে। শুধু তাই নয়, মেসির সঙ্গে আছেন উসাইন বোল্ট, সেরেনা উইলিয়ামস ও মাইকেল জর্ডানও

বিশ্বসেরা খেলোয়াড় বানানোর মিশনে নেমেছেন লিওনেল মেসি। তবে এই মিশনে মেসি একা নন। আছেন আরও বিশ্বনন্দিত তারকারা। বাস্কেটবলের কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডান, নারী টেনিসের সর্বকালের সবচেয়ে সফল তারকা সেরেনা উইলিয়ামস, বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম মানব উসাইন বোল্ট— সবাই এই কাজে সাহায্য করবেন মেসিকে। নিজ নিজ খেলার ভবিষ্যৎ তারকা খুঁজবেন তাঁরাও।

এমনই এক চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন খেলার দুনিয়ার চার মহারথী। আর তাঁদের একসঙ্গে একই ফ্রেমে আনার কাজটা করেছে গ্যাটোরেড— যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিখ্যাত ‘স্পোর্টস ড্রিংক’ প্রতিষ্ঠান।

বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, এক ছেলে তার বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছে। নৈপুণ্য ও কারিকুরি দিয়ে অন্য সবাইকে হারিয়ে দিচ্ছে সে। মেসি ছেলেটির খেলা দেখছে আড়াল থেকে। মেসি হুডি পড়ে নিজেকে এমনভাবে ঢেকে রেখেছেন, যাতে কেউ তাঁকে চিনতে না পারে। সেই ছেলের খেলা দেখে সন্তুষ্টই মনে হলো মেসিকে। ম্যাচ শেষে বিশ্রাম নেওয়ার সময় ছেলেটি দেখল, তাঁর ব্যাগে একটা আমন্ত্রণপত্র রাখা। ‘গোট (GOAT) ক্যাম্প’-এ যাওয়ার আমন্ত্রণপত্র! মানে মেসি ছেলেটিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নিজের কাতারে চলে আসার।

সেই ছেলের মতো বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে টেনিস, বাস্কেটবল ও অ্যাথলেটিকসে সেরা আরও তিন ছেলে-মেয়েকে খুঁজে বের করে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়। আমন্ত্রণ পেয়ে তারা সবাই পাড়ি জমায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সেই গোট ক্যাম্পে— বিশ্বসেরা বানানোর কারখানা!

মোটামুটি কাহিনি এমনই। বাকিটা জানতে আপনাকে ভিডিওটা দেখতে হবে। ভিডিওটা দেখুন এখানে -

বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে পেরে মেসি নিজেও খুশি হয়েছেন বেশ।

এমন বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ ছিল। ‘গোট ক্যাম্প’ এর এই ধারণাটা পছন্দ হয়েছে আমার। এটা এমন একটা জায়গা যেখানে বিশ্বের তরুণ সব অ্যাথলেটরা এসে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে বিশ্বসেরা হিসেবে। নিজেদের স্বপ্ন সত্যি করতে পারবে।

প্রতিদিন আমার অনুশীলন রুটিনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে গ্যাটোরেড। আশা করব এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম খেলাধুলার প্রতি আরও উৎসাহী হবে। অনুশীলন করে নিজেকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হবে।