গার্দিওলার গোপন তথ্য চুরি, ১ লাখ পাউন্ডে বিক্রির চেষ্টা

সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। ছবি: এএফপি
সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। ছবি: এএফপি
পেপ গার্দিওলার মেইল থেকে সব তথ্য চুরি করেছেন এক হ্যাকার

ফুটবল মাঠে পেপ গার্দিওলাকে হারানো কঠিন হতে পারে। কিন্তু তাঁর কম্পিউটার থেকে তথ্য চুরি করা—এটা কাজটি কতখানি চ্যালেঞ্জের। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে, এ কাজ তো আরও কঠিন! ভুল! এক হ্যাকার জানিয়েছেন, ম্যানচেস্টার সিটি কোচের কম্পিউটার, মেইল হ্যাক করা তাঁর জীবনে ‘সহজতম’ কাজগুলোর একটি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সান এমন খবরই জানিয়েছে। যদিও সেই হ্যাকারের নাম জানা যায়নি। তাঁর দাবি, হ্যাকিং করে সিটির প্রতিটি খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করেছেন তিনি। দলবদল নিয়ে সিটি কোচ গার্দিওলার সব গোপন মেইলও নাকি হাত করেছেন সেই হ্যাকার। এ নিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত।

সেই হ্যাকারের দাবি, সিটির সব খেলোয়াড়ের ফোন নম্বর, মেইল অ্যাড্রেস ছাড়াও অন্যান্য তথ্য রয়েছে তাঁর কাছে। গার্দিওলার ব্যক্তিগত সব তথ্য নাকি ১ লাখ পাউন্ডে বিক্রির চেষ্টাও করেছেন সে হ্যাকার। ২০১৭ সালে ইতিহাদে গার্দিওলার মেইল চালাচালির স্ক্রিনশট রয়েছে তাঁর কাছে। ৪৯ বছর বয়সী এ কোচ যত মেইল পেয়েছেন এবং করেছেন—তাঁর ‘সব মেইলে’ই ঢুকে তথ্য হস্তগত করেছেন এই হ্যাকার। ছদ্মবেশী তদন্তকারীদের এমন তথ্যই জানিয়েছেন তিনি।

হ্যাকারটি বলেন, ‘আমি ওই (গার্দিওলা) ফোনে ঢুকে স্ক্রিনশট নিতে পারি। কারণ ওখানে (সিটি) আইটি কন্ট্রাক্টর ছিলাম। এখন যা যা করেছি তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে সহজ কাজ।’ ২০১৬ থেকে প্রায় দুই বছর ইংলিশ ক্লাবটিতে আইটি কন্ট্রাক্টরের কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন এই হ্যাকার।

২০১৭ সালের জুলাইয়ে নিজের ফোন থেকে দুই দিনে গার্দিওলার ফোনে ঢোকেন তিনি। এরপর স্প্যানিশ কোচের সব মেইল, ফোন নম্বর, দলবদলের গোপন তথ্য—সব হস্তগত করেন। তদন্তকারীদের কিছু স্ক্রিনশটও দেখিয়েছেন তিনি। হ্যাকারের দাবি, গার্দিওলার সব তথ্য তিনি কোডে রূপান্তরিত করে প্রোটন মেইল অ্যাকাউন্টে সুরক্ষিত রেখেছেন। ওখানে নাকি পুলিশের পক্ষে ঢোকাও অসম্ভব। বাকি সব তথ্যও নাকি ‘সুরক্ষিত’ রেখেছেন তিনি।

হ্যাকারের দাবি, ‘নিজের ব্যক্তিগত কোথাও ওসব রাখিনি। দেখতে চাইলে দেখাতে পারব। এসব তথ্য তো আর ফোনে রাখব না। ফোন আটক হলে তো ধরা পড়ে যাব।’ ম্যাথিয়াস ডি লিট থেকে সক্রেটিস পাপাস্থোপোলউসের সঙ্গে গার্দিওলার যোগাযোগের সব বিবরণ আছে তার কাছে। একটি বিলাসবহুল হোটেলে তদন্ত দলের সঙ্গে এসব কথা বলেছেন সেই হ্যাকার। গার্দিওলার সব তথ্য তিনি ১ লাখ ক্রিপ্টো-কারেন্সি বিট কয়েনের বদলে বেচে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এই হ্যাকারের সঙ্গে ‘সান’-এর তদন্ত দল সাক্ষাতের পর যোগাযোগ করেছে সিটির সঙ্গে। সেখানে সব তথ্য-প্রমাণ দাখিল করেন তাঁরা। সিটি এরপর ম্যানচেস্টার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ট্র্যাকিং করে সেই হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।