রেকর্ড গড়েই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল বাংলাদেশ

প্রথম ইনিংসেই একটি অপ্রিয় রেকর্ড করেছেন সালমা-জাহানারা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের (১৮৯) রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। বোলারদের ব্যর্থতা ব্যাটারদের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছিল অনেক। কিন্তু এত বড় চাপ সামলানো সম্ভব হয়নি শামীমা-মুরশিদা-নিগারদের পক্ষে। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ড এটি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথম খেলতে অস্বস্তিকর সব রেকর্ডের স্বাদ নিয়েই ফিরল বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৭৯ রানে হারার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। সেটাও দুবার। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিন দিনের মধ্যে ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে ৭৯ রানে হারার স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজ ক্যানবেরাতে সেসব রেকর্ডও দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ১৯০ রানের লক্ষ্যে নামা দল পাওয়ার প্লেতে টেনে-টুনে তুলতে পেরেছিল ২৭ রান। সেটাও ৩ উইকেট হারিয়ে। ফলে ১০ ওভার পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে মোটে ৪৫ রান। বাকি ১০ ওভারে ১৪৫ রান নেওয়ার প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা শেষ করে দিয়েছিল।

আগ্রহ ছিল বাংলাদেশ রেকর্ড পরাজয় এড়াতে পারে কিনা সেটা নিয়ে। নিগার ও ফারজানার ৪৯ বলে ৫০ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি সে লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে। ১৯ রান করে নিগার ফিরলেও ছয়ে নামা রুমানাও ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন ফারজানাকে। কিন্তু ১৮তম ওভারে রুমানাও বিদায় নিয়েছেন ফারজানাকে ফেলে। তখন বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৭ বলে ৯৫ রান। অর্থাৎ প্রতি বলে ছক্কা মারলেই শুধু এ ম্যাচ বের করা সম্ভব। এর চেয়ে বরং ১৬ রান নিয়ে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের রেকর্ড এড়ানো যাবে কিনা সে আলোচনাতেই আগ্রহ ছিল।

পরের ছয় বলে মাত্র দুই রানে শঙ্কাটা বাড়িয়ে দিয়েছে। ১৯তম ওভারের শেষ বলে ৩৬ রানে ফারজানার আউটও বিপদ বাড়িয়েছে। শেষ ওভারে রেকর্ড হার এড়ানোর জন্য ১১ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ৩ উইকেট হারিয়ে দল তুলতে পেরেছে ৩ রান। দুই রান আউট মিলে আউটের হ্যাটট্রিকের দেখাও মিলেছে। শেষ পর্যন্ত ১০৩ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬ টায় হবে সে ম্যাচ।