মাঠে ফিরবেন আগের সাইফউদ্দিন

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
>বিশ্বকাপের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজেই প্রথম দলে ফিরলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চোট কাটিয়ে উঠে ছন্দে ফিরতে আত্মবিশ্বাসী এই পেসার।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে তো ফিরলেন, কিন্তু মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের সর্বশেষ পারফরম্যান্সটা কি মনে আছে? মনে না থাকারই কথা। মাঝে যে চলে গেছে পাঁচটি মাস! গত সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচে তো নিলেন ৪ উইকেট!

সুখের কথা সাইফউদ্দিন আবারও মাঠে ফিরছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে আশায় বাঁধছেন বুক। তাঁর বিশ্বাস, লম্বা সময় পর ফিরলেও আগের ছন্দে আসতে বেশি সময় লাগবে না, ‘চোটের কারণে হয়তো ৫ মাস মাঠের বাইরে ছিলাম। তবে আমি এসবে অভ্যস্ত। আগেও এমন হয়েছে। আশা করি ভালোভাবেই মাঠে ফিরতে পারব।’

ইনিংসের শুরুতে সুইং, শেষে ইয়র্কার আর গতির বৈচিত্র্য। ব্যাট হাতেও সাইফউদ্দিনের সামর্থ্য আছে প্রয়োজনের সময় কিছু করে দেখানোর। সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের গুরুত্বটা এ কারণেই বেড়ে যায়। ফিট সাইফউদ্দিন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি একাদশে ‘অটোমেটিক চয়েজ’।

সাকিব আল হাসান না থাকলে বাংলাদেশ দলের ভারসাম্য যেরকম এলোমেলো হয়ে যায়, সাইফউদ্দিনের অনুপস্থিতিও এখন অনেকটা সেরকম। সাইফউদ্দিন না থাকা মানে হয় ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে হবে, না হয় বোলিং শক্তি। নতুন বলে তাঁর সুইং ওপেনারদের টেকনিককে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বাধ্য। আর ডেথ ওভারে তো সাইফউদ্দিন মানেই ইয়র্কার। ব্যাটসম্যানের বুটে আঘাত করায় দারুণ দক্ষ এই পেসার। চোট থেকে ফেরার পর হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের বোলিং কোচ চম্পকা রামানায়েকের সঙ্গে কাজ করেছেন। ধারাবাহিকভাবে সাইফউদ্দিনকে ইয়র্কার করতে দেখে তিনি বলেছেন, ‘সে প্রস্তুত। শতভাগ প্রস্তুত।’

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে তো সাইফউদ্দিন আছেনই, টেস্টেও তাঁর মতো একজনকে খুঁজছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগে তিনি বলেছেন, ‘তিন পেসার খেলাতে পারছি না টেস্ট দলে। কারণ আমাদের সাইফউদ্দিনের মতো কেউ নেই।’ ডমিঙ্গোর অপেক্ষার পালা এবার শেষ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়েই আবার ক্রিকেটে ফিরছেন সাইফউদ্দিন।

গত সেপ্টেম্বরে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন সাইফউদ্দিন। মাঝে খেলতে পারেননি ভারত ও পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। দশ বছর ধরে বয়ে বেড়ানো পিঠের জটিল চোট এবারও পাঁচ মাস মাঠের বাইরে রেখেছে তাঁকে।