নাঈম-আফিফকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা বিসিবির

আফিফ-নাঈমকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
আফিফ-নাঈমকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
>দুজনই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। দুজনই ভীষণ প্রতিভাবান আর সম্ভাবনাময়, এরই মধ্যে নিজেদের চিনিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে। দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে লম্বা মেয়াদে পরিকল্পনা আছে বিসিবির

আফিফ হোসেন আর মোহাম্মদ নাঈম এখন খুব একটা অপরিচিত মুখ নন বাংলাদেশ দলে। দুজনেরই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়ে গেছে, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে বেশ নিয়মিতই তাঁরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে এ দুজনের প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ঢোকাটা তাই বিশেষ চমক তৈরি করেনি। তবে নাঈম-আফিফের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যাটা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ।

ওয়ানডে দল ঘোষণার দিনে মিনহাজুল এ দুজনকে নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন, ‘সাদা বলে নাঈম-আফিফকে নিয়ে আমাদের লম্বা মেয়াদে পরিকল্পনা আছে।’ লম্বা মেয়াদে পরিকল্পনা বলতে নিশ্চয়ই দুই সম্ভাবনাময় বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে বিসিবি ২০২০ ও ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ২০২৩ বিশ্বকাপের কথা ভেবে পরিচর্যা করে চলেছে। যেমনটা করা হয়েছে নাজমুল হোসেনকে। তাঁদের নিয়ে বিসিবির এত পরিকল্পনা, সেটি বাস্তবায়নে কতটা আশাবাদী দুই তরুণ ব্যাটসম্যান?

নাঈম: এগুলো নিয়ে এত চিন্তা করিনি। যা আছে সামনে সেসব নিয়ে ভাবছি।
আফিফ: সুযোগ হলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। দল যে পরিকল্পনা করবে, যে দায়িত্ব আমাকে দেবে, সেই অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব।

৫ টি-টোয়েন্টিতে ১ ফিফটিতে ৩৭.২০ গড়ে নাঈমের রান ১৮৬। গত নভেম্বরে নাগপুরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ-নির্ধারণী টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮১ রানের ইনিংসটা হয়ে আছে দারুণ এক আগমনী বার্তা। টি-টোয়েন্টি দলে জায়গাটা ধীরে ধীরে পোক্ত হচ্ছে। বাকি দুই সংস্করণে জায়গা নিয়ে তাঁর ভাবনাটা যদিও এখনই বলতে চান না নাঈম, ‘এত স্বপ্ন তো দেখতাম না। জাতীয় দলে খেলব, ভাবিনি! বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই চিন্তা করেছি, ধাপে ধাপে কীভাবে এগোনো উচিত।’

১০ টি-টোয়েন্টিতে ১১৩ রান আর ৪ উইকেট নেওয়া আফিফের চিন্তাটা অবশ্য নাঈমের মতো নয়। তিনি সব সময় থাকেন সুযোগের অপেক্ষায়, ‘অনেক দিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম, টি-টোয়েন্টি খেলছি। ওয়ানডেতে ডাক পাব, এমন আশাও ছিল। সেটি পূরণ হয়েছে। চেষ্টা করব দলের জন্য ভালো কিছু করার।’