অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নিয়মিত খেলতে চায় বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ান বোলিং-ফিল্ডিংয়ে কাবু হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ছবি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুইটার
অস্ট্রেলিয়ান বোলিং-ফিল্ডিংয়ে কাবু হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ছবি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুইটার

আট বছর ধরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি এই প্রথম। শুধু টি-টোয়েন্টি কেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই এটি ছিল দুই দলের প্রথম ম্যাচ। সাক্ষাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ডটাও হয়েছে সালমা-জাহানারারা। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতাতেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার খিদেটা কমেনি বাংলাদেশের। বরং এ পরাজয় যেন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত খেলার গুরুত্বটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ১৬৯ । আজ সেটাকে আরও ২০ বাড়িয়ে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ডটি ছিল ৭৯ রানের। সেটাও ৮৬তে পৌঁছে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং, বোলিংয়ের মতো ফিল্ডিংও ব্যর্থ হয়েছে। চারটি ক্যাচ ফেলেছেন ফিল্ডাররা। দলের পক্ষে বলার মতো পারফরম্যান্স ছিল শুধু ফারজানা হকের। ৩৬ রান করা এই ব্যাটার অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আরও নিয়মিত খেলতে চান,‘অস্ট্রেলিয়া বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আমাদের জন্য এটাই ছিল প্রথম ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং সামলানো তাই অবশ্যই কঠিন ছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচ খেলার পর কীভাবে এ বোলিং সামলানো যায়, সে অভিজ্ঞতা হলো। এ কন্ডিশন, এ বোলিং সবই তো আমাদের জন্য নতুন। ভালো দল হতে হলে ওদের সঙ্গে খেলতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা বড় দলের সঙ্গে নিয়মিত খেলতে পারি না। যদি বড় দলের সঙ্গে নিয়মিত খেলতে পারি তবে আমাদের ক্রিকেট আরও উন্নত হবে। আমরাও ভালো করব। আমরা এখন বুঝতে শিখছি এমন বোলিং আক্রমণ কীভাবে সামলানো যায়, কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের ব্যাটারদের আক্রমণ করা যায়।’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে (১৫)। এরপরই আছে ভারত (১২), দক্ষিণ আফ্রিকা (১০) ও আয়ারল্যান্ড (৯)। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র তিনটি করে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে পরের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও এখনো খেলা হয়নি বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের সুবাদে শনিবার সে স্বাদও পাবে বাংলাদেশ।

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে নিয়মিত না খেলতে পারায় দল যে আজ বিপদে পড়েছিল সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন অধিনায়ক সালমাও, ‘অস্ট্রেলিয়া খুবই ভালো দল। ১৯০ অনেক বড় লক্ষ্য। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা খুবই ভালো লাইন-লেংথে বল করে। আমার ব্যাটাররা শর্ট বলে স্বচ্ছন্দ নয়। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের অপেক্ষায় আছি।’