টি-টোয়েন্টির প্রভাব 'ঘৃণা' করেন তিনি

স্যার রিচার্ড হ্যাডলি। ছবি: টু্ইটার
স্যার রিচার্ড হ্যাডলি। ছবি: টু্ইটার
>নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি স্যার রিচার্ড হ্যাডলি সব সময়ই টেস্ট ক্রিকেটের পূজারি। তাঁর কাছে এটাই আসল ক্রিকেট। টেস্টের প্রতি যত্নবান না হলে টি-টোয়েন্টি টিকিয়ে রাখা যাবে না বলে মনে করেন হ্যাডলি

টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এক সময় তাঁর দখলে ছিল। সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের কাতারে অনায়াসেই ওঠে তাঁর নাম—স্যার রিচার্ড হ্যাডলি। আজন্ম টেস্ট ক্রিকেটের পূজারি। টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তার এ সময়েও টেস্ট নিয়ে পড়ে আছেন হ্যাডলি। তাঁর মতে, টেস্ট ক্রিকেটের যত্ন না নিলে টি-টোয়েন্টি টিকবে না।

৮৬ টেস্টে ৪৩১ উইকেট নেওয়া হ্যাডলির কাছে টেস্ট ক্রিকেটের ‘ভিত্তি’। এ ভিত্তি ভালোভাবে টিকিয়ে তিন সংস্করণে ভারসাম্য আনতে পারলে ক্রিকেটেরই ভালো বলে মনে করেন ৬৮ বছর বয়সী সাবেক এ কিউই, ‘অবশ্যই টেস্ট ক্রিকেটের যত্ন নিতে হবে। এটা খেলার ভিত্তি। টি-টোয়েন্টি খেলায় বিপ্লব এনেছে, তিন সংস্করণকেই টিকিয়ে রাখতে হবে এবং সেটি সম্ভব। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্ব চালাবে, এটা দেখতে আমি ঘৃণা করি।’

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে হ্যাডলি সোজাসাপ্টাই বলেছেন, টেস্টের প্রতি যত্নবান হতে না পারলে টি-টোয়েন্টি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। ‘এখন অনেক বেশি টি-টোয়েন্টি খেলা হচ্ছে। আশা করি টি-টোয়েন্টিতে ভর করে ক্রিকেট টিকে থাকবে না। কারণ টি-টোয়েন্টি আসল ক্রিকেট না। টেস্ট হলো আসল ক্রিকেট।’

তবে টি-টোয়েন্টির ইতিবাচক দিকও দেখছেন টেস্টে প্রথম বোলার হিসেবে ৪০০ উইকেট পাওয়া হ্যাডলি। টি-টোয়েন্টি দক্ষ ক্রিকেটার তৈরি করে বলে মনে করেন তিনি, ‘বলছি না ওরা (টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার) শ্রেয়তর ক্রিকেটার তবে অবশ্যই ওরা বেশি দক্ষ। টি-টোয়েন্টিতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নানা রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। টি-টোয়েন্টি প্রজন্মের বোলারদের অন্তত পাঁচ রকম বৈচিত্র্য আছে।’

টি-টোয়েন্টি আসার পর বোলারদের বৈচিত্র্য সত্যিই বেড়েছে। ‘নাকল’ বল, হাতের পেছন থেকে করা স্লোয়ার ছাড়াও নতুন নতুন বৈচিত্র্য যোগ করছেন বোলাররা। হ্যাডলি বলেন, ‘খেলোয়াড়ি জীবনে আমার দু রকম বৈচিত্র্য ছিল—ইনসুইঙ্গার ও আউটসুইঙ্গার। এ দুটোই ছিল যথেষ্ট।’ তবে বেশি বেশি টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার ছোট করে দেয় বলে মনে করেন হ্যাডলি। গতিময় পেসাররা ত্রিশ পেরিয়ে যাওয়ার পর অনেকেই টেস্ট ছেড়ে দেন।

হ্যাডলি বলেন, ‘৩৪ বা ৩৫ বছর বয়সে অনেক পেসার ক্যারিয়ার শেষ করে। যদিও টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য ৩-৪ বছর থাকে। কিন্তু তখনো টেস্ট চালিয়ে গেলে দেওয়ার আর কিছু থাকে না। চোট পায়, সামর্থ্য কমে আসে। টাকার পেছনে ছুটতে গিয়ে অনেকে আগেভাগেই ক্যারিয়ার শেষ করেন। এটা সমালোচনা নয়, খেলাটা যেভাবে চলছে সে সময়ের প্রতিচ্ছবি। আমি টেস্ট ছেড়েছি ৩৯ বছর বয়সে।’