আট ম্যাচ নিষিদ্ধ সাবেক রিয়াল তারকা

কিছুদিন আগেও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতেন ক্যাসিয়া। ছবি : এএফপি
কিছুদিন আগেও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতেন ক্যাসিয়া। ছবি : এএফপি
>

কিছুদিন আগে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে উদ্দেশ করে বর্ণবাদী মন্তব্য করেছিলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক কিকো ক্যাসিয়া। সে অপরাধে আট ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা জুটেছে তাঁর কপালে

ঘটনাটা গত সেপ্টেম্বরের। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগের এক ম্যাচে লিডস ইউনাইটেড খেলছিল চার্লটন অ্যাথলেটিকের সঙ্গে। সেখানেই ঘটল বিপত্তি। চার্লটনের হয়ে খেলা কঙ্গোর স্ট্রাইকার জোনাথন লেকোকে বর্ণবাদী গালি দিয়ে বসেন লিডসের স্প্যানিশ গোলরক্ষক কিকো ক্যাসিয়া। অভিযোগটা এত দিন প্রমাণিত হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত করে অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ পেয়ে অবশেষে গতকাল রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই গোলরক্ষককে আট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে এফএ।

আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছে লিডস, ‘সেপ্টেম্বর ২০১৯-এ অনুষ্ঠিত হওয়া স্কাই বেট চ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের সঙ্গে চার্লটন অ্যাথলেটিকের খেলায় এফএ'র নিয়মাবলির ই-৩ ভঙ্গ করার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে কিকো ক্যাসিয়াকে। এফএ'র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ক্যাসিয়াকে।’

তবে এই কঠিন সময়ে নিজেদের গোলরক্ষকের পাশেই দাঁড়িয়েছে লিডস। বুঝিয়ে দিয়েছে, কিকোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়াটা তাদের কাছে অত স্বচ্ছ বলে মনে হয়নি, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, আমরা আমাদের ফুটবল ক্লাবের মধ্যে কোনো ধরনের বৈষম্য মানতে রাজি নই। যে কোনো ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা ভূমিকা নিই। যাই হোক, এটাও জেনে রাখা জরুরি, কিকো সব সময় এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। সম্ভাব্যতার ওপর ভিত্তি করে এফএ তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কিকোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো শক্ত প্রমাণ নেই।’

রিয়াল মাদ্রিদের যুবদলে খেলা এই গোলরক্ষককে নিজেদের মূল একাদশের যোগ্য না মনে করে ২০০৭ সালেই ছেড়ে দিয়েছিল রিয়াল। সেখান থেকে এসপানিওলের যুবদলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দুই দফা ধারে কাদিজ ও কার্তাগেনার মতো ক্লাবে নিজেকে প্রমাণ করার পর এসপানিওলের মূল গোলরক্ষক হন কিকো। ফর্ম দেখে মুগ্ধ হয়ে ২০১৫ সালে রিয়ালের সেই সময়ের কোচ রাফায়েল বেনিতেজ আবারও দলে নিয়ে আসেন তাঁকে।

চার বছর রিয়ালে থেকে মাত্র ২৫ ম্যাচ খেলেছিলেন। এর পেছনে কারণ, কেইলর নাভাসের বিকল্প গোলরক্ষক হিসেবে বেশির ভাগ সময় বেঞ্চেই কাটিয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে যোগ দেন লিডসে। সেখানে মূল গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।