বার্সেলোনায় কেন যেতে চাননি এই স্ট্রাইকার?

বার্সেলোনাকে না বলে দিয়েছেন পেরেজ। ছবি: আলাভেস টুইটার
বার্সেলোনাকে না বলে দিয়েছেন পেরেজ। ছবি: আলাভেস টুইটার

লিগের ১৪তম দলে খেলেন, এ অবস্থায় ডাক আসে শীর্ষ দলে যাওয়ার। এ অবস্থায় সাড়া না দেওয়া খুব কঠিন। বিশেষ করে ডাকটা যখন আসে বার্সেলোনার কাছ থেকে। কিন্তু লুকাস পেরেজে সে ডাকে সাড়া দেননি। যে দলে খেলার স্বপ্ন দেখেন বিশ্বের অধিকাংশ ফুটবলার, সেই বার্সেলোনাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। রয়ে গেছেন আলাভেসেই। কিন্তু কেন?

জানুয়ারিতে আঁতিপাঁতি করে স্ট্রাইকার খুঁজেছে বার্সেলোনা। কিন্তু কাউকে আনতে পারেইনি তারা। জানুয়ারির দল বদলের পর পরই চোটে পড়েছেন উসমান ডেম্বেলে। এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ডের বিকল্প হিসেবে আবার স্ট্রাইকার খুঁজতে নেমেছিল তাদের। দুবারই বার্সেলোনার পছন্দের তালিকায় ছিলেন লুকাস পেরেজ। আলাভেসের হয়ে ২৪ ম্যাচে ১০ গোল করা পেরেজকে বার্সেলোনা ভালো এক বিকল্প স্ট্রাইকারই মনে করেছে। কিন্তু পেরেজ যেতে রাজি না হওয়ায় লেগানেস থেকে মার্টিন ব্রাথওয়েটকে দলে নিয়েছে বার্সেলোনা।

ব্রাথওয়েটের বার্সেলোনা-অধ্যায়ের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। প্রথম ম্যাচেই একটি গোলে সহায়তা করেছেন। কিন্তু পেরেজও তো সেই জায়গাটি নিতে পারতেন। কেন নিলেন না? এর উত্তরে স্প্যানিশ স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘এবারের শীতকালীন দলবদলে আর সব দলবদলের মতোই অনেক দল চেয়েছিল আমাকে। শুধু বার্সেলোনা নয়, আরও অনেক দল। কিন্তু আমি মৌসুমটা এখানেই শেষ করতে চেয়েছি। কারণ, আমি এখানে সুখে আছি এবং আমি চুক্তিবদ্ধ।’

তারপরই লুকাস পেরেজ বললেন তাঁর একটি ভয়ের কথা। দেপোর্তিভো লা করুনা থেকে আর্সেনালে গিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। সেখানে দুই মৌসুমে মাত্র ২১ ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন। বার্সেলোনায় গিয়েও এভাবে না আবার বসে থাকতে হয়! এই ভয়েই বার্সেলোনার ডাক উপেক্ষা করেছেন, ‘আমি আরেকটি ভুল করতে চাই না। ইংল্যান্ডে যেমন হয়েছিল, এখানেও আমি সুযোগ পেতাম না। আর মৌসুমের মাঝপথে তো যাওয়ার প্রশ্নই আসে না, আমি শেষ পর্যন্ত থাকতে চাই।’

পেরেজ জানিয়েছেন বার্সেলোনা তাকে বহুদিন ধরেই নজরে রেখেছে, ‘এই প্রথম বার্সেলোনা আমাকে চায়নি। অন্য অনেক ক্লাবের মতোই তারা আমার সঙ্গে আগেও যোগাযোগ করেছে। কিন্তু এসব নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না।’