মাশরাফি পাকিস্তানে যাবেন তো?

সিলেটে বাংলাদেশের অনুশীলনে মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
সিলেটে বাংলাদেশের অনুশীলনে মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
>

জিম্বাবুয়ের পর বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তানে। পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে আপত্তি নেই মাশরাফি বিন মুর্তজার।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পর বাংলাদেশ আবার ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তানের করাচিতে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে একটি টেস্টের আগে একটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত মতামত নেওয়া হয়েছিল। মুশফিকুর রহিম তখন পাকিস্তান সফর থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছিলেন। এবার পাকিস্তানে ওয়ানডে থাকায় এ সংস্করণের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও একই সিদ্ধান্তের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির জানিয়েছেন, জাতীয় দলের জন্য তিনি যেকোনো জায়গায় গিয়ে খেলতে প্রস্তুত। কিন্তু মাশরাফি বলেই আরেকটি প্রশ্ন থেকে যায়। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান কদিন আগেই বলেছেন, অধিনায়ক হিসেবে এটিই মাশরাফির শেষ সিরিজ। মাশরাফিও বোর্ড প্রধানের মন্তব্যের পর কিছু জানাননি। তবে অধিনায়ক হিসেবে না হলেও খেলোয়াড় হিসেবে পাকিস্তান যেতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। সেটি আবার নির্ভর করছে পাকিস্তান সিরিজের আগে নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এই সিরিজের পর কী হবে জানি না। তবে বাংলাদেশ দলের প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় ডাকলে আমি থাকব। ক্রিকেট বোর্ড আমাদের অভিভাবক। ক্রিকেট বোর্ড আমাদের কথা একবার, দুইবার, তিনবার না, দশবার ভেবে সিদ্ধান্ত নেবে, এটাই আমি প্রত্যাশা করি। ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্ত সব সময় চূড়ান্ত ভাবা উচিত। পাকিস্তান সফরে কোনো ক্রিকেটারের যেন কিছু না হয়, তা বোর্ড নিশ্চিত করবে। তবে এটা একেকজনের ওপর নির্ভর করে। মুশফিক যায়নি, আমার ১০০% সম্মান আছে তাঁর সিদ্ধান্তে। ক্রিকেট বোর্ড থেকেই সে সুযোগ করে দিয়েছে, যদি কেউ না যেতে চায়, তাহলে যাবে না। দল নির্বাচনের সময় যখন ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচকেরা বসবেন, তখন আগে তো জিজ্ঞেস করবে, কে যেতে চায় আর কে যেতে চায় না। আমাকে যদি তখন দলে নেয়, তাদের সঙ্গে আমি আলোচনা করব।’

পাকিস্তানে ৩ এপ্রিল একমাত্র ওয়ানডেটি খেলবে বাংলাদেশ।