এশিয়া কাপ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের দুই 'প্রধানে'র দুই রকম কথা

সৌরভ গাঙ্গুলী ও এহসান মানি। এএফপি ফাইল ছবি
সৌরভ গাঙ্গুলী ও এহসান মানি। এএফপি ফাইল ছবি
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, এবার এশিয়া কাপ হবে দুবাইয়ে। কিন্তু পিসিবি সভাপতি জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি


কথাটা কাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। এ বছর এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে দুবাইয়ে। সেখানে ভারত-পাকিস্তানের খেলার কথাও বলেছেন সৌরভ। কিন্তু আজ পিসিবি সভাপতি এহসান মানি জানালেন, এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়ানোর কথা এশিয়া কাপ। এবার টুর্নামেন্টটি আয়োজনের স্বত্ব পাকিস্তানের। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এর আগে সাফ জানিয়ে দেয়, নিরাপত্তা ইস্যুতে ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে পাঠাবে না তারা। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করলে এশিয়া কাপে খেলতে ভারতের কোনো সমস্যা নেই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’–এ মানি বলেন, ‘সহযোগী দেশগুলোর ভালো ভেবেই এশিয়া কাপ আয়োজন করা হয়। এটা মাথায় রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এশিয়ার সব দেশের কথা ভেবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের হাতে কিছু উপায় আছে।’ মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ আয়োজন করে থাকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।

পাকিস্তানে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে ভারত বাদ সাধায় মাঝে বাংলাদেশের নামও উঠেছিল। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এ টুর্নামেন্ট হতে পারে বলে একটা সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। এসিসির বৈঠক সামনে রেখে কাল দুবাইয়ে উড়াল দেওয়ার আগে বিসিসিআই সভাপতি বলে যান, ‘এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে দুবাইয়ে এবং সেখানে ভারত ও পাকিস্তান খেলবে।’

২০১৮ এশিয়া কাপ আয়োজনের স্বত্ব ছিল ভারতের। কিন্তু সেটি অনুষ্ঠিত হয় দুবাই ও আবুধাবিতে। ৩ মার্চ এসিসির বৈঠকে থাকবেন দুই প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান। বৈঠকে বিষয়সূচিতে না থাকলেও করোনাভাইরাস নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। রোগটি বিশ্বব্যাপী মহামারি হিসেবে ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করবেন বোর্ড প্রধানেরা। মানি এ নিয়ে বলেন, ‘এশিয়া কাপ হবে সেপ্টেম্বরে, আমরা এখন ফেব্রুয়ারিতে। করোনাভাইরাস এর মধ্যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তখন যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। তাই বিষয়টি এখন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও আলোচনা হবে।’

করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। আরব আমিরাতের প্রতিবেশী দেশ ইরানে এর মধ্যে আটজন মারা গেছেন।