বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে শেষ কবে ওয়ানডে জিতেছে

জিম্বাবুয়ের অনুশীলনে ক্রেগ আরভিন, সিকান্দার রাজারা। ছবি: প্রথম আলো
জিম্বাবুয়ের অনুশীলনে ক্রেগ আরভিন, সিকান্দার রাজারা। ছবি: প্রথম আলো
>

বাংলাদেশের মাটিতে গত ১০ বছরে কোনো ওয়ানডে জেতেনি জিম্বাবুয়ে

বাংলাদেশে গত এক দশকে কোনো ওয়ানডে জেতেনি জিম্বাবুয়ে।

কাল সংবাদ সম্মেলনে তথ্যটি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল চামু চিবাবাকে। তেতো সত্যটা হজম করেই জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শুনিয়েছেন আশার বাণী, ‘আমরা এ ধারাটা পাল্টাতে চাই।’ তবে এই এক দশকে হার তো বটেই, হারের ব্যবধানগুলো দেখলে সিলেটে আজ প্রথম ওয়ানডের ফলটা আন্দাজ করে নেওয়াই যায়। তাতে ক্রিকেট যতই গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা হোক, পারফরম্যান্স দেখে ফলটা অনুমান করে নেওয়ায় দোষের কিছু নেই।

বাংলাদেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে জিতেছে ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর। সেবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯ রানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর টানা ১৬ ওয়ানডেতে হেরেছে জিম্বাবুয়ে। হারের ব্যবধানগুলোও বেশ বড়। উইকেট ব্যবধানে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন জয় ৫ উইকেটে, রান ব্যবধানে ২১। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জয়ের ব্যবধান ৮ উইকেট ও ১২৪ রান। বোঝাই যাচ্ছে, এ সময়ে পাল্টেছে নিক্তিতে শক্তির ভার। সেই জিম্বাবুয়ে যেমন আর নেই তেমনি বাংলাদেশের শক্তিও বেড়েছে।

আর তাই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচেই হেরেছে জিম্বাবুয়ে। দিন-তারিখ হিসাব করলে ২১ নভেম্বর ২০১৪ থেকে ২৬ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত জেতেনি তারা। অবশ্য আজকের ম্যাচ সিলেটে বলেই জিম্বাবুয়ে আশাবাদী। এ মাঠে একবারই খেলেছে জিম্বাবুয়ে। ২০১৮ সালে এ মাঠে যে টেস্ট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে জিতেছিল ১৫১ রানে।

কিন্তু আজকের খেলাটা ওয়ানডে—যে সংস্করণে তাদের বিপক্ষে ৭২ ম্যাচের মধ্যে ৪৪টি জিতেছে বাংলাদেশই। সবচেয়ে বেশি রান ও উইকেটও বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের। নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিব নেই। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল (১৫৪) তো আছেন। ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে তামিমের চাই আর ১০৮ রান। এই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তা হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।