বাংলাদেশকে হারানোর স্বাদ পেয়েছিলেন যাঁরা

আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শন উইলিয়ামসকে পাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। ছবি: প্রথম আলো
আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শন উইলিয়ামসকে পাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। ছবি: প্রথম আলো
>সিলেটে আজ বেলা একটায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে জিম্বাবুয়ে

একটা জয়। সামান্য একটা জয়ই তো! সেটিও যেন এখন ‘বাঘের দুধ’। অবশ্য টাকা দিলে নাকি বাঘের দুধও মেলে। কিন্তু খেলার মাঠে জয় তো আর টাকা দিয়ে মেলে না। প্রতিপক্ষের চেয়ে ভালো খেলে সেটা তুলে নিতে হয়। ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ভালো খেলাটাই খেলতে পারছে না পাঁচ বছর ধরে। শুধু হার আর হার। জিম্বাবুয়ের বর্তমান দলে এমন কোনো তরুণ ক্রিকেটার নেই, যিনি অন্তত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের স্মৃতি হাতড়ে উসকে দেবেন সতীর্থদের।

বাংলাদেশ বিপক্ষে সর্বশেষ ১৪ ওয়ানডেতে হেরেছে জিম্বাবুয়ে। এ সংস্করণে তাদের সর্বশেষ জয় ২০১৩ সালে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে। বুলাওয়েতে সে ম্যাচটা জিতে তিন ম্যাচ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ও নিশ্চিত করেছিল স্বাগতিকেরা। ৭ উইকেটে জয়ের সে ম্যাচে জিম্বাবুয়ে দলটা শক্তিতে অন্তত বর্তমান দলের চেয়ে এগিয়ে। সিবান্দা-মাসাকাদজা-টেলর-রাজা-উইলিয়ামস। এ তো গেল ব্যাটিং। চিগুম্বুরা থেকে জার্ভিস, ভিটোরি ও চাতারাদের নিয়ে ভালোই শক্তিশালী ছিল জিম্বাবুয়ের বোলিংও।

সে যা–ই হোক, পাঁচ বছর আগে জিম্বাবুয়ের সে দলটি থেকে মাত্র দুজন এখনো দলে টিকে আছেন—ব্রেন্ডন টেলর ও সিকান্দার রাজা। আর একজন যোগ দিচ্ছেন আজকের ম্যাচ থেকে—শন উইলিয়ামস। আর আছেন দলের সঙ্গে অন্য দায়িত্বে থাকা হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। এই চারজন বলতে পারবেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে একসময় ওয়ানডে জিতেছে জিম্বাবুয়ে। বাকি তরুণ ক্রিকেটারদের এ স্মৃতি নেই। অধিনায়ক চামু চিবাবা, রেজিস চাকাভা ও ক্রিস্টোফার পফুর অবশ্য ওয়ানডে জয়ের স্মৃতি আছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। কিন্তু সর্বশেষ ওয়ানডে জেতা জিম্বাবুয়ে দলে এ তিন ক্রিকেটার ছিলেন না।

আজ সিলেটে ওয়ানডে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই জিম্বাবুয়ের। জয়ের স্মৃতি উসকে দিয়ে তরুণদের উদ্দীপ্ত করতে পারবেন তো জিম্বাবুয়ের সিনিয়র ক্রিকেটাররা?