বড় বাঁচা বাঁচল পাকিস্তানের মেয়েরা

মাঠে সতীর্থদের ভালো ব্যাটিং উপভোগ করেছে থাইল্যান্ড দল। ছবি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুইটার পেজ
মাঠে সতীর্থদের ভালো ব্যাটিং উপভোগ করেছে থাইল্যান্ড দল। ছবি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুইটার পেজ
>মেয়েদের বিশ্বকাপে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাট করেছে থাইল্যান্ড। কিন্তু বৃষ্টিতে ভেসে গেছে থাই মেয়েদের জয়ের স্বপ্ন

‘পচা শামুকে পা কাটত’? তা বলাই যায়। পরিসংখ্যানে অন্তত সেই চোখ রাঙানি ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের মেয়েদের বাঁচিয়ে দিল বৃষ্টি।

থাইল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু ধারে-ভারে পাকিস্তানের মেয়েদের সঙ্গে তুলনাই চলে না। র‌্যাঙ্কিংয়ে থাই মেয়েরা শীর্ষ দশের বাইরে। আর পাকিস্তান মেয়েদের ক্রিকেটেও প্রতিষ্ঠিত শক্তিগুলোর একটি। সিডনিতে আজ এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই জয়ের সুযোগ হারিয়েছে থাই মেয়েরা।

সিডনিতে গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল জাভেরিয়ার দল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ১৫০ রানের ‘বিশাল’ সংগ্রহ দাঁড় করায় থাই মেয়েরা। মেয়েদের বিশ্বকাপে থাইল্যান্ডকে প্রথম ফিফটি এনে দেন নাতাকাম চান্তাম। থাই মেয়েরা কতটা ভালো ব্যাট করেছে এবং পাকিস্তানি বোলাররা কতটা বাজে করেছে সেই প্রমাণ দিচ্ছে পরিসংখ্যান—এবার বিশ্বকাপে এর আগে ৩ ম্যাচে সব মিলিয়ে ১৭টি বাউন্ডারি মেরেছিল থাই মেয়েরা। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসেই তারা মেরেছে ২৩ বাউন্ডারি। তবে এই সংগ্রহই পাকিস্তানের মেয়েদের জন্য ‘বিশাল’—পরিসংখ্যান বিচারে।

টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের মেয়েরা এর আগে ১৩৯ রানের বেশি লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি। এ সংস্করণে এর আগে ১৫বার ন্যূনতম ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কখনো জেতেনি পাকিস্তান নারী দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সর্বোচ্চ ১৪৪ রান তুলতে পেরেছে তারা। সে হিসেবে আজ বৃষ্টি না নামলে বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের মুখ দেখার সুযোগ ছিল থাই মেয়েদের। বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে নামতে পারেনি পাকিস্তান। ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় ভাগাভাগি হয় পয়েন্ট। তাতে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ নেই জাভেরিয়াদের।

তবে থাই মেয়েদের এক ইনিংসেই অর্জন সামান্য নয়। মেয়েদের বিশ্বকাপে এই এশিয়া থেকে অনেক বড় বড় দলকেই ছাপিয়ে গেছে তারা একটা ইনিংস দিয়ে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মতো দল বিশ্বকাপে এক ইনিংসে থাইল্যান্ডের চেয়ে কম রান তুলেছে। বাংলাদেশের রেকর্ড ৮ উইকেটে ১২৪ রান। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে ১৩১ ও পাকিস্তানের ১৩৯। থাই মেয়েদের রেকর্ডের এ পাতায় টেক্কা দিতে পেরেছে শুধু ভারত। বিশ্বকাপে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান তুলেছে তারা।