গোল না খেয়ে জিততে পারছে না বসুন্ধরা

লিগে আজ তৃতীয় জয় পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ফাইল ছবি
লিগে আজ তৃতীয় জয় পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ফাইল ছবি
>প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।

প্রিমিয়ার লিগের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের সঙ্গে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। এর পর আজ টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা। আগের ম্যাচে ব্রাদার্সের বিপক্ষে জয়ের পর আজ রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে তারা।

লিগে ৪ ম্যাচ খেলে এক ড্রয়ের বিপরীতে বসুন্ধরার ৩ জয়। তবে এবার যেন গোল হজম না করে ম্যাচ জিততে পারছেন অস্কার ব্রুজোনের দল। শেষ লিগে যেখানে চতুর্থ ম্যাচে এসে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিপক্ষে প্রথম গোল হজম করেছিল বসুন্ধরা। সে দলটি এবার শেষ তিন ম্যাচেই গোল হজম করেছে চারটি। কেবল প্রথম ম্যাচে উত্তর বারিধারার বিপক্ষে গোল হজম করেনি তারা।

আজ তো শুরু থেকেই কাঁপছিল বসুন্ধরার রক্ষণভাগ। বিশেষ করে দুই সেন্টারব্যাক তপু বর্মণ ও ইয়াসিন খান জুটি। প্রতিপক্ষের প্রেসিংয়ে তাল গোল পাকিয়েছে জাতীয় দলের এই দুই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার। তপুর ভুলে তো প্রথম মিনিটেই গোল হজম করতে পারত বসুন্ধরা। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান ছিলেন বলেই রক্ষা। কিন্তু ইয়াসিন আবারও ভুল করে গোল খাওয়ান। সেই ভুলের সুযোগে রহমতগঞ্জকে সমতায় ফিরিয়েছেন উজবেকিস্তানের স্ট্রাইকার উজবেক স্ট্রাইকার তুরায়েব আকোবির। আর বসুন্ধরার গোল দুইটি এসেছে কোস্টারিকান দানিয়েল কলিনদ্রেস ও কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুশবেকভের পা থেকে।

কিক অফ বাঁশির শুরুতেই রহমতগঞ্জের প্রেসিংয়ে প্রতিপক্ষ দিদারুল আলমের পায়ে বল তুলে দেন তপু। বক্সের ওপর থেকে দিদারুলের ক্রসে দারুণ হেড করেছিলেন উজবেকিস্তানের স্ট্রাইকার তুরায়েব। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ সেভ করে দলকে জীবন দেন গোলরক্ষক আনিসুর।

৩ মিনিট পরেই দানিয়েল কলিনদ্রেস ঝলকে বসুন্ধরার এগিয়ে যাওয়া। গোলটি কলিনদ্রেস ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমের দারুণ রসায়নের ফল। বাম প্রান্তে ইব্রাহিমের উদ্দেশে আলতো থ্রু দেন কলিনদ্রেস। সে বল নিয়ে ইব্রাহিম ড্রিফট করে ভেতরে প্রবেশ করলে আবার ফাঁকায় জায়গা তৈরি করেন কলিনদ্রেস। ইব্রাহিম আলতো করে কাটব্যাক করলে সরাসরি দূরের পোস্ট দিয়ে জোরালো শটে জালে পাঠান কোস্টারিকান এই স্ট্রাইকার।

রহমতগঞ্জ সমতায় ফেরে ৩৮ মিনিটে। ইয়াসিনের ভুলের সুযোগে গোলটি পায় তারা। নিকোলাস দেলমন্তেকে পাস দিতে গিয়ে রহমতগঞ্জ মিডফিল্ডার আরাফাত হোসেনের পায়ে তুলে দেন। আরাফাত ভেতরে প্রবেশ বাম পায়ের শট নিলে প্রথম দফায় সেভ করেন আনিসুর। ফিরতি বলে টোকা দিয়ে ১-১ করেছেন তুরায়েব।

বিরতিতে যাওয়ার আগেই বক্সের মধ্যে থেকে জোরালো শটে ২-১ করেছেন কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুশবেকভ। দ্বিতীয়ার্ধে রহমতগঞ্জ সমতায় ফেরার মতো খেললেও আর গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা।

এই জয়ে ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট বসুন্ধরার। সমানসংখ্যক ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট রহমতগঞ্জের।