বিয়ের পর বদলে গেছেন সৌম্য

বিয়ের পর ক্রিকেটে ফিরছেন সৌম্য। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
বিয়ের পর ক্রিকেটে ফিরছেন সৌম্য। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আজ বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সিসিডিএমের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদল করতে আসা সৌম্য সরকারকে সতীর্থ, সাংবাদিক—সবাই সম্বোধন করলেন ‘নতুন জামাই’ হিসেবে। এ সম্বোধনে আপত্তি নেই বাঁ হাতি ওপেনারের। তবে আপত্তি আছে তাঁর এক সতীর্থের কথায়। ওই সতীর্থের চোখে সৌম্য নাকি বিয়ের পর কিছুটা মুটিয়ে গেছেন!

‘কই, খেতে পেরেছি কোথায়? বিয়ের দিন বিরিয়ানি খুব একটা খেতে পারিনি’—বন্ধুর রসিকতায় কৈফিয়ত দিয়ে চলেন সৌম্য। তবে নিজেই স্বীকার করলেন, খুব বেশি মুটিয়ে না গেলেও ওজন বেড়েছে এক কেজি। এই এক কেজি ওজন বাড়ার পেছনে সৌম্য দায় দেখছেন মিষ্টির। বিয়েবাড়িতে মিষ্টি না খেলে চলে? তার ওপর আবার তিনি বর। দলবদল করতে এসে আজ ক্রিকেটের চেয়ে বিয়ের গল্পই বেশি করতে হলো সৌম্যকে। সতীর্থ-বন্ধুর সঙ্গে তো করলেনই। সংবাদমাধ্যমের সামনেও কথা বলতে হলো জীবনের নতুন ইনিংস নিয়ে!

এক কেজি ওজন বৃদ্ধি তো আছেই, বিয়ের পর ব্যক্তিগত জীবনে আরও পরিবর্তন এসেছে সৌম্যর। সেই পরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের মুখে লাজুক হাসি, ‘পরিবর্তন বলতে আসলে এখনো ওভাবে সময়ই পাইনি। বিয়ের পরপরেই মাঠে চলে আসতে হয়েছে। তবে পরিবর্তন তো কিছু আছেই। আগে যখন চাইতাম যেখানে-সেখানে চলে যেতে পারতাম, দ্রুত পারতাম। এখন মনে হয়, না, একটা দায়িত্ব বেড়েছে।’

বিপিএলের সময় লিটন দাস বলেছিলেন, দাম্পত্য জীবনের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে তাঁর খেলায়। লিটন বলতে চেয়েছিলেন, দায়িত্ববোধ একজন খেলোয়াড়কে অনেক বদলে দেয় মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে। সৌম্য মাত্রই শুরু করলেন জীবনের নতুন অধ্যায়। সময় গেলে বলতে পারবেন, লিটনের মতো দাম্পত্য জীবনের কতটা প্রভাব পড়েছে তাঁর খেলায়। সে না হয় বলবেন। মধুচন্দ্রিমা কবে করছেন, সেটি নিশ্চয়ই এখন বলা যায়? আবারও সৌম্যর মুখে লাজুক হাসি, ‘না, এটাও এখনো ঠিক করিনি।’

গুছিয়ে নিতে আরেকটু সময় নিচ্ছেন সৌম্য। আপাতত তাঁর লক্ষ্য জাতীয় দলে ফেরা । সৌম্য ফিরছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেই। সিলেটে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে সৌম্যকে।