'সালাউদ্দিন আবারও সভাপতি হলে ফুটবল চিরতরে হারিয়ে যাবে'

কাজী সালাউদ্দিনকে বাফুফে সভাপতির পদে দেখতে চান না সাবেক ফুটবলাররা
কাজী সালাউদ্দিনকে বাফুফে সভাপতির পদে দেখতে চান না সাবেক ফুটবলাররা
>টানা চতুর্থবারের মতো বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। সালাউদ্দিন আবারও নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ থেকে ফুটবল চিরতরে হারিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বর্তমান সহ সভাপতি বাদল রায়।

আবারও কাজী সালাউদ্দিনকে এক হাত নিলেন বাদল রায়। তিনি মনে করেন মাঠের ফুটবলে তাঁর এক সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী সালাউদ্দিন আবারও বাফুফে সভাপতি হলে দেশের ফুটবল চিরতরে হারিয়ে যাবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বসেছিল জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলারদের মিলনমেলা। তাঁরা আয়োজন করেছিলেন ‘পরিবর্তন সময়ের দাবি ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার। এতে দেশের ফুটবলের দুরবস্থার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন সাবেক তারকারা। মোহামেডান ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক তারকা বাদল রায় অভিযোগ করেন, ‘সালাউদ্দিন মাফিয়া কায়দায় নির্বাচন করতে চান।’

আগামী ২০ এপ্রিল বাফুফে নির্বাচন। এতে টানা চতুর্থবারের মতো সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এতে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বাদল রায়। নির্বাচন থেকে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব তরফদার রুহুল আমিন সরে গেলে বাফুফের বর্তমান সহসভাপতি বাদল রায় এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আর কেউ সভাপতি পদে নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে দিলেও আমি দেব না।’

আলোচনায় উঠে আসে গত এক যুগে বাফুফেতে বিভিন্ন দুর্নীতি আর ব্যর্থতার চিত্র। সাবেক ফুটবলাররা বাফুফে নির্বাচন থেকে সালাউদ্দিনকে সরে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান। বাদল রায় অভিযোগ করেন, ‘কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে চাইলে তাঁকে সরিয়ে দেন সালাউদ্দিন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাসানুজ্জামান বাবলু। বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচনে বাদল রায়কে সমর্থন দেন প্রতাপ শঙ্কর হাজরা, জাকারিয়া পিন্টু, ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টু, খুরশিদ আলম বাবুল, আবদুল গাফফার, স্বপন কুমার দাস, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, কায়সার হামিদ, আরমান মিয়া, আলফাজ আহমেদসহ আরও অনেকে।