ভক্তের সঙ্গে মারামারি করতে ছুটলেন তিনি

দর্শকের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন ডায়ার। সংগৃহীত ছবি
দর্শকের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন ডায়ার। সংগৃহীত ছবি

হার মেনে নেওয়া সব সময়ই কঠিন। ঘরের মাঠে তুলনামূলক প্রতিপক্ষের কাছে তো বটেই। গতকাল এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ডে নরউইচ সিটির কাছে সে দুর্ভাগ্যই হয়েছে টটেনহাম হটস্পারের। এমন হারের পর ক্ষেপে উঠেছিল স্পারদের কিছু দর্শক। খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে ছাপার অযোগ্য কিছু কথাও ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল গ্যালারি থেকে। ফলাফল, মাঠ ছেড়ে গ্যালারিতে চলে গিয়েছিলেন এরিক ডায়ার।

গতকাল নিজের মাঠে নরউইচের বিপক্ষে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ বের করে আনতে পারেনি হোসে মরিনহোর দল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে লিগে অবনমন অঞ্চলেও সবার শেষে থাকা নরউইচ। পরে পেনাল্টি শুটআউটে নিজেদের তিনটি শট নষ্ট করেছে টটেনহাম। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা নরউইচের শেষ শট নেওয়ার প্রয়োজনও হয়নি। ম্যাচের শেষে পরিবারের সামনেই স্পার্স মিডফিল্ডার এরিক ডায়ারকে অপমান করছিলেন ক্লাবের কিছু সমর্থক। ইংলিশ মিডফিল্ডার সেটা সহ্য করতে না পেরে গ্যালারিতে গিয়ে তর্কে জড়ান সমর্থকদের সঙ্গে। নিরাপত্তা কর্মীরা এসে দ্রুত তাঁকে না আটকালে ব্যাপারটা অশোভন পর্যায়ে চলে যেতেও পারত। ডায়ারের সেই ভিডিও সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানলের মতো।

এ ঘটনায় কোচ মরিনহো অবশ্য নিজের খেলোয়াড়ের পক্ষেই আছেন, ‘আমার মতে এরিক যা করেছে তা একজন পেশাদারের করা ঠিক না কিন্তু আমরা সবাই ঠিক এটাই করতাম। আমি আবারও বলছি পেশাদারদের এটা করা ঠিক না। কিন্তু আমি আবারও বলছি আমি খেলোয়াড়ের পক্ষে আছি এবং সে কেন এটা করেছে তা আমি বুঝি। সমর্থকেরা আমরা ব্যর্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের সমর্থন দিয়েছে। ওই ব্যক্তি এরিককে অপমান করেছে। ওর পরিবার ওখানে ছিল। ওরা এমন বিষয় মেনে নিতে পারেনি।’

যে পরিস্থিতিতেই কাজটা করুন না কেন, সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় যাওয়া একজন খেলোয়াড়ের জন্য অপরাধ। এ ব্যাপারে ক্লাব কোনো শাস্তি দেবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে মরিনহোকে দ্বিধান্বিত শোনাচ্ছে, ‘যদি ক্লাব এটা করে (শাস্তি দেয়), আমি বলব সেটা ঠিক হবে না। তবে এরিক ভুল করেছে এটা সত্যি।’ টটেনহাম শাস্তি না দিলেও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ডায়ারের ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং শাস্তির ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।