মাশরাফির জন্যই মানতে পারছেন না মুশফিক

অধিনায়ক মাশরাফির শেষ ম্যাচটি খেলতে না পারলে আফসোস থেকে যাবে মুশফিকের। ছবি: শামসুল হক
অধিনায়ক মাশরাফির শেষ ম্যাচটি খেলতে না পারলে আফসোস থেকে যাবে মুশফিকের। ছবি: শামসুল হক

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা কি তাহলে শেষ লড়াইটা মুশফিকুর রহিমের জন্যই লড়বেন!

সন্দেহটা উসকে দিয়েছিল গতকাল সংবাদ সম্মেলন মাশরাফির বলা কথা। মুশফিক প্রসঙ্গে যেরকম প্রতিবাদী শোনাল তাঁর কণ্ঠ, তাতে এ রকম ধারণা ছড়িয়ে পড়ল যে, মাশরাফি হয়তো কোচ আর বোর্ডের মতের বিরুদ্ধে গিয়েই তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের শেষ ম্যাচের একাদশে রাখবেন মুশফিককে।

এই জায়গায় আফসোস মুশফিকের কথায়ও। এত বছর যার নেতৃত্বে জাতীয় দলে খেললেন, অধিনায়ক হিসেবে তাঁর শেষ ম্যাচটা কি সত্যিই খেলা হবে না! এটা মানা মুশফিকের জন্য সত্যিই কঠিন। কাল রাতে এই প্রতিবেদককে তিনি বলছিলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে ওনার শেষ ম্যাচে যদি খেলতে না পারি, আসলেই খুব খারাপ লাগবে। মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে আবার কবে এক দলে খেলব, সেটাও জানি না।’
মাশরাফির মতো অধিনায়কের নেতৃত্বে এত বছর খেলতে পেরে গৌরব বোধ করেন মুশফিক, ‘ম্যাশ (মাশরাফি) ভাইকে অনেক মিস করব। উনি আমার চোখে দেখা সেরা অধিনায়ক। বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সহজ কাজ নয়। আর ওনার রেকর্ডও ওনার পক্ষে কথা বলবে। শুধু অধিনায়ক হিসেবেই নয়, একজন খেলোয়াড় হিসেবে ওনার পারফরম্যান্স ভালো ছিল।’

মাশরাফিকে শুভকামনা জানিয়ে মুশফিক বলেছেন, ‘উনি একজন কিংবদন্তি এবং সারা জীবন কিংবদন্তি হয়েই থাকবেন। খেলুন আর নাই খেলুন, তিনি আমার অভিভাবকও।’

কাল নেতৃত্ব ছাড়ার সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফিও কথা বলেছেন মুশফিকের অভিভাবকের মতোই। পাকিস্তান সফরে যাবেন না বলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে মুশফিককে না নেওয়ার সিদ্ধান্তটি যে তাঁর মনঃপূত হয়নি, বুঝিয়ে দিয়েছেন সেটিও, ‘এগুলো কিন্তু টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত। এগুলো আসলে অধিনায়কও দিতে পারে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি মুশফিক এমন একজন খেলোয়াড়, কখনো যদি তার খারাপ সময়ও যায়, তারপরও সে যে পরিমাণ রান করেছে, বাংলাদেশের জেতার পেছনে তার যে অবদান, এসব চিন্তা করতে হবে। এখনো চার নম্বরে সে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়। যে ছেলেটা ১২-১৩ বছর ধরে বাংলাদেশের হয়ে পারফর্ম করে আসছে, সে যাতে মানসিকভাবে চাপের মধ্যে না থাকে, সেটি খেয়াল রাখা উচিত বলে আমি মনে করি।’

টিম ম্যানেজমেন্ট সহ সবার প্রতিই মাশরাফির আহ্বান, মুশফিকের মতো ক্রিকেটারদের যেন তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া হয়।