২১ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন তামিম-লিটন

তামিম-লিটনের উদ্বোধনী জুটি গড়ল নতুন রেকর্ড। ছবি: প্রথম আলো
তামিম-লিটনের উদ্বোধনী জুটি গড়ল নতুন রেকর্ড। ছবি: প্রথম আলো
>১৯৯৯ সালের ২৫ মার্চে গড়া মেহরাব-শাহরিয়ারের রেকর্ড আজ ভেঙে দিয়েছেন তামিম-লিটন

এক মার্চ থেকে আরেক মার্চ। এক জিম্বাবুয়ে থেকে আরেক জিম্বাবুয়ে—মাঝে ২১টি বছর। রেকর্ড হয়ই ভাঙার জন্য। প্রকৃতির এই নিয়ম মেনে প্রতি বছর রেকর্ডের কত পাতাই তো ওলট-পালট হয়। এই ওলট-পালটের মধ্যেও একটা রেকর্ড অক্ষত থেকেছে ২১ বছর। ওয়ানডেতে পূর্বসূরি দুই ব্যাটসম্যানের করা সে রেকর্ডটাই আজ ভেঙে দিল তামিম ইকবাল-লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটি।

১৯৯৯ সালের ২৫ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মেহরাব হোসেন-শাহরিয়ার হোসেনের ওপেনিং জুটি তুলেছিল ১৭০ রান। তখনকার জিম্বাবুয়ে কতটা শক্তিশালী দল ছিল, সেটি না বললেও চলে। তখনকার বাংলাদেশ ছিল ঠিক উল্টো— আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পায়ের নিচে মাটি শক্ত করছে কেবল। জিম্বাবুয়ের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে যে রানটা এনে দিয়েছিলেন মেহরাব-শাহরিয়ার, সেটির জন্য এখনো কৃতিত্ব পান তাঁরা। ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে ১৭০ রান—বাংলাদেশের সর্বোচ্চ হয়ে ছিল গত ২১ বছর। এত দিন পর সেটি ভাঙলেন তামিম আর লিটন।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত লিটন অপরাজিত ১০২ রানে আর তামিম ৭৯ রানে। সেদিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অবশ্য বৃষ্টির বাগড়া ছিল না। মেহরাব করেছিলেন ১০১ রান আর শাহরিয়ার ৬৮। আজ যদি সিলেটে আর ব্যাটিংয়ে নাও নামা হয় তামিম-লিটনের, মেহরাব-শাহরিয়ারের সঙ্গে রানেও অনেকটা মিল থাকবে। তবে মেহরাবের সেঞ্চুরির আলাদা একটা তাৎপর্য আছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে, সেটিই যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম তিন অঙ্কের দেখা পাওয়া।

মেহরাব আজ তামিম-লিটনের ইনিংসটি টিভিতেই দেখেছেন। রেকর্ড ভেঙেছে, তাতে অবশ্য মোটেও মন খারাপ হয়নি সাবেক এ ওপেনারের, ‘আমি খুশি, বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের সেরা দুই ব্যাটসম্যানের হাতেই ভাঙা হয়েছে আমাদের ২১ বছরের রেকর্ড।’

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটি

জুটি রান প্রতিপক্ষ মাঠ সাল
লিটন-তামিম ১৮০* জিম্বাবুয়ে সিলেট ৬ মার্চ ২০২০
মেহরাব-শাহরিয়ার ১৭০ জিম্বাবুয়ে ঢাকা ২৫ মার্চ ১৯৯৯
এনামুল-তামিম ১৫৮ জিম্বাবুয়ে চট্টগ্রাম ২৩ নভেম্বর ২০১৪
সৌম্য-তামিম ১৫৪ দক্ষিণ আফ্রিকা চট্টগ্রাম ১৫ জুলাই ২০১৫
এনামুল-ইমরুল ১৫০ পাকিস্তান ঢাকা ৪ মার্চ ২০১৪