আবাহনীর সঙ্গে হারল আবাহনী

গোলের পর চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলাররা। ছবি: বাফুফে
গোলের পর চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলাররা। ছবি: বাফুফে
>মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনী লিমিটেডের চার গোল ব্যবধানে জয়ের স্বাদ মিলিয়ে গেল চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে হেরে

তিন দিন আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। আজ সেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই ফুটে উঠল আকাশি-নীলদের হতশ্রী চেহারা। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে আজ ২-০ গোলে হেরেছে আবাহনী। এবারের লিগে এটিই তাদের প্রথম হার।

প্রথমার্ধের খেলা ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। সে ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়েছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক চার্লস দিদিয়ের গোল। ৬২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে গোলটি করেছেন আইভরি কোস্টের এই মিডফিল্ডার। রাইট উইঙ্গার রাকিব হোসেন কাটব্যাক করেছিলেন দিদিয়েরকে। বক্সের ভেতর বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেখেশুনে বাম পায়ে জোরালো শট নেন দিদিয়ের। গোল! আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম ডান দিকে ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পায়নি।

আবাহনীর আক্রমণভাগের মূল প্রাণ হাইতির কেভিন বেলফোর্ট। মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচে জোড়া গোল করে নায়ক হয়েছিলেন হাইতির এই স্ট্রাইকার। আবাহনীর পায়ে বল থাকলে আজ মারুফুল হক তাঁকে রেখেছিলেন ‘ডাবল টিমিং’-এ। বাম প্রান্তে বেলফোর্টের পায়ে বল গেলেই রাইট ব্যাক নাসিরুল ইসলাম ও হোল্ডিং মিডফিল্ডার মানিক মোল্লা তাঁকে ‘ডাবল টিমিং’-এ সামলেছেন। ফলে বেলফোর্টের পায়ে দেখা যায়নি কোনো ঝলক। ৭৯ মিনিটে তাঁকে তুলে ফরোয়ার্ডে পাঠানো হয় প্রথাগত সেন্টারব্যাক মিসরের আলা নাসেরকে। এই বদলেও বোঝা গেছে বেলফোর্টের হাঁসফাঁস।

বেলফোর্টকে তুলে নেওয়ায় চট্টগ্রামের রাইটব্যাক নাসিরুল ইসলামের ওপর থেকে চাপ কমে যায়। এ সুযোগে দারুণ এক ‘ওভারল্যাপ’ করে চোখ ধাঁধানো গোল করেছেন নাসিরুলই। বাম পায়ে নেওয়া তাঁর আচমকা জোরালো শট জড়িয়ে যায় জালে। তবে এর আগে ৮৯ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল আবাহনী। সোহেলের ক্রস থেকে নাবীব নেওয়াজের ভলি দারুণ সেভ দিয়েছেন চট্টগ্রামের গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাঈম। এই হারে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট আবাহনীর। সমানসংখ্যক ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট সমান ১০।