মাশরাফি লিখলেন, মনে রেখ কেবল একজন ছিল...

কাল অধিনায়ক হিসেবে বিদায়ী ম্যাচে সতীর্থ তামিম ইকবালের কাঁধে মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
কাল অধিনায়ক হিসেবে বিদায়ী ম্যাচে সতীর্থ তামিম ইকবালের কাঁধে মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো

বিদায়ের বেদনা মাখা উৎসব? তা বলাই যায়। কাল সিলেটে মাশরাফি বিন মুর্তজার অধিনায়ক হিসেবে বিদায়ী ম্যাচে এমন আবহই ভর করেছিল। চোখে হাসি বুকে কান্নার আবির মেখেছিলেন মাশরাফি। আর তাতে সিক্ত হয়েছেন দেশের আপামর ক্রিকেটপ্রেমী। আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছিল মাশরাফির জাতীয় দল সতীর্থদের মাঝেও। শুধু ‘অধিনায়ক’ নিজে প্রায় সারাক্ষণই ছিলেন হাসিমুখে। কী মাঠে, কী সংবাদ সম্মেলনে—নেতৃত্ব ছাড়ার গুমোট ব্যথাটুকু চেপে হাসিমুখেই নৈবেদ্য গ্রহণ করেছেন ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক’ মাশরাফি। কিন্তু চেপে রাখা কষ্ট তো এক সময় ছাড়তেই হয়।

কাল ম্যাচের মধ্যে ছিলেন মাশরাফি। ম্যাচ শেষে তাঁকে ঘিরে যে বিদায়ী উৎসব হয়েছে সেখানে তো আর নিজেকে সময় দেওয়া যায় না। ওয়ানডে সিরিজ শেষে ঘরে ফিরে তবেই একটু নিজের সুখ-দুঃখ নিয়ে ভাবতে পেরেছেন। দীর্ঘ প্রায় এক দশকের নেতৃত্ব ছাড়ার ব্যথাটুকু তিনি ঢেলেছেন ব্যান্ড তারকা জেমসের ‘ঠিক আছে বন্ধু’ অ্যালবামের একটি গানের পঙ্‌ক্তির শরণ নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অফিশিয়াল পেজে দুঃখটুকু উগরে দিতে ‘এপিটাফ’ গানের লাইন তুলে দিয়েছেন মাশরাফি। লিখেছেন, ‘শেষ বেলায় ভুলে যেও অভিমান। মনে রেখ কেবল একজন ছিল, ভালোবাসত শুধু তোমাদের....।’

ক্রিকেটপ্রেমীরা মাশরাফির এ স্ট্যাটাসে হামলে পড়ে মন্তব্য করেছেন। এক ভক্ত লিখেছেন, ‘আর কোনো অভিমান নেই, শুধুই ভালোবাসা! আপনি সব সময় আমাদের অধিনায়ক থাকবেন।’ আরেক ভক্তের মন্তব্য, ‘সাকিব ফেরার আগ পর্যন্ত আপনার নেতৃত্ব ধরে রাখা উচিত ছিল। আর তো মাত্র কয়েকটা মাস।’ অন্য এক ভক্ত লিখেছেন, ‘ক্রিকেট গুরুর পোস্টে কণ্ঠ গুরুর লাইন! ভালোবাসা নেবেন ম্যাশ।’

নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ কথাগুলো লেখেন মাশরাফি। ছবি: ফেসবুক
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ কথাগুলো লেখেন মাশরাফি। ছবি: ফেসবুক

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কাল তৃতীয় ওয়ানডে দিয়ে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছেড়েছেন মাশরাফি। অধিনায়ক হিসেবে তাঁর বিদায়ী ম্যাচে আবেগ সংবরণের লড়াই করতে হয়েছে মাশরাফিকে। ম্যাচ শেষে তাঁকে কাঁধে তুলে ঘুরিয়েছেন তামিম ইকবাল। সঙ্গে ছিলেন বাকি সতীর্থরা। এরপর মাশরাফির ২ নম্বর জার্সিও পরেছেন ক্রিকেটাররা। যেখানে বুকের ওপর লেখা ছিল ‘ধন্যবাদ, অধিনায়ক।’