করোনাভাইরাসে চোখ রাখছে বিসিবি

করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝেও এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি। ছবি: আইসিসি
করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝেও এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি। ছবি: আইসিসি

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে দুটি প্রীতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আয়োজন করছে বিসিবি। ২১ ও ২২ মার্চ হওয়ার কথা এ দুটি ম্যাচ। দুই একাদশে কারা কারা খেলবেন সে তালিকাও প্রায় প্রস্তুত। কিন্তু প্রথমবারের মতো আজ রোববার দেশে তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। এমন অবস্থায় ম্যাচ দুটি হবে কি না সে শঙ্কা জেগেছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসানের আশা, সময়মতোই হবে এ দুটি ম্যাচ।

দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাওয়ায় প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এরই মধ্যে পূর্ব নির্ধারিত ফুটবল বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। ২৬ তারিখে কাতারের বিপক্ষে ভারতের মাটিতে হওয়ার কথা ছিল ওই ফুটবল ম্যাচটি। সেটি স্থগিত ঘোষণা করায় স্বাভাবিকভাবেই ২১ ও ২২ মার্চ বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ দুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বোর্ড সভাপতি অবশ্য এ নিয়ে এখনো শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত, প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানই (জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের) ঠিকমতো হবে। সামনে কী পরিস্থিতি হয়, এটা তো জানি না। করোনাভাইরাস সব দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। সরকার যে পদক্ষেপ নিবে বা নিচ্ছে, তারপর সামনে কী সিদ্ধান্ত হয়—পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। এখন পর্যন্ত আমরা বদ্ধপরিকর, আমরা এই দুই ইভেন্ট সুন্দরভাবে করতে পারব।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বা প্রতিরোধে বিসিবির করার কিছু নেই। বরং নিজেদের পক্ষে যা করা সম্ভব সেটুকু সম্পন্ন করে রেখেছে বিসিবি, ‘এশিয়া একাদশ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তালিকা পেয়ে গেছি পুরোপুরি। বিশ্ব একাদশে ১১ জন হয়েছে, আরও ৩-৪টা নাম ঢোকাতে হবে। সব মিলিয়ে ১৫ জন হবে। অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের জন্য অপেক্ষা করছি। অন্যান্য দেশ মোটামুটি চূড়ান্ত। পিএসএল চলছে। আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করতে পারব। আমরা চাচ্ছি সব দেশ থেকেই আসুক, অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়েরাও আসুক সেটা চাচ্ছি। আর সে জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি।’

এশিয়া একাদশ নিশ্চিত হলেও সবচেয়ে বড় তারকার অংশগ্রহণ নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। এর আগে বিরাট কোহলি এ দুই ম্যাচে থাকবেন বলে শোনা গেলেও পরবর্তীতে জানা গেছে না-ও থাকতে পারেন কোহলি। বোর্ড সভাপতিও নিশ্চিত করে বলতে পারলেন না কোহলিকে ঢাকায় দেখা যাবে কি না, ‘কোহলিকে নিয়ে একটু সংশয় আছে। ওরা যে নামগুলো পাঠিয়েছে তাদের মধ্যে রাহুল এক ম্যাচ খেলবে, ২২ তারিখেরটা। শিখর ধাওয়ান, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি, ঋষভ পন্ত—বাকিরা সবগুলোই খেলবে। কিন্তু কে এল রাহুল একটা খেলবে, চেষ্টা চলছিল কোহলিকে অন্যটিতে পাওয়ার। যেহেতু আমাদের নিশ্চিত করা হয়নি, তাই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কে এল রাহুল খেলবে এটা নিশ্চিত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’