ম্যানচেস্টারের রং লাল

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলদাতা অ্যান্থনি মার্শিয়ালকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলদাতা অ্যান্থনি মার্শিয়ালকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি

ওল্ড ট্রাফোর্ডের গ্যালারিতে লালের আধিপত্য থাকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রং যে লাল! তবে আজ ম্যাচ শেষেও সেই গ্যালারিতে লালের উচ্ছ্বাস থাকবে কি না, এমন প্রশ্ন তো ছিলই। প্রতিপক্ষ যে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। যাদের রং নীল। তবে পেপ গার্দিওলার সিটি আজ পারল না ইউনাইটেডকে নীল বেদনায় রাঙ্গাতে। উল্টো ম্যাচটা ২-০ গোলে জিতে লাল উচ্ছ্বাস আরও বাড়িয়ে দিল ইউনাইটেড।

৩০ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের পাস থেকে অ্যান্থনি মার্শিয়ালের গোল। একটা সময় মনে হচ্ছিল ওটাই ইউনাইটেডের জয়ের একমাত্র ব্যবধান হয়ে থাকবে। প্রাণপণ চেষ্টায়ও ম্যাচে ফিরতে পারেনি সিটি। উল্টো যোগ হওয়া সময়ে সিটির কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দিলেন স্কট ম্যাকটমিনে আরও একটা গোল করে।

এক দশকের মধ্যে এই প্রথম নগর প্রতিপক্ষ সিটির বিপক্ষে এক মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের দুটি ম্যাচেই জিতলেন ইউনাইটেড কোচ ওলে গুনার সুলশার। সিটির বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছিল ইউনাইটেড। সর্বশেষ ২০০৯-১০ মৌসুমে লিগে সিটির বিপক্ষে ইউনাইটেড দুটি ম্যাচই জিতেছিল। সেই সময় ওল্ড ট্রাফোর্ডের ডাগআউটে ছিলেন ইউনাইটেডের কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ফার্গুসনের আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন ডেভ সেক্সটন, ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে।

এ জয়ে ২৯ ম্যাচ শেষে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগের পঞ্চম স্থানে ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে পেপ গার্দিওলার সিটি। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৮২।