গিয়েছিলেন খেলতে, ফিরলেন লাশ হয়ে

চিয়েমে মার্টিনস। ছবি: সংগৃহীত
চিয়েমে মার্টিনস। ছবি: সংগৃহীত
>

ফুটবল মাঠে হারিয়ে গেল আরেকটি প্রাণ। নাইজেরিয়ার শীর্ষ লিগে নাসারাওয়া ইউনাইটেড বনাম কাতসিনা ইউনাইটেডের খেলায় নাসারাওয়ার হয়ে খেলতে গিয়ে মাঠের মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন নাসারাওয়ার চিয়েমে মার্টিনস

খেলার মাঠে মৃত্যু, নতুন কিছু নয়। সে তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি নাম। তিনি নাইজেরিয়ার শীর্ষ লিগের ক্লাব নাসারাওয়া ইউনাইটেডের ফুটবলার চিয়েমে মার্টিনস।

গতকাল নাইজেরিয়া পেশাদার লিগের খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল মার্টিনসের নাসারাওয়া ইউনাইটেড আর কাতসিনা ইউনাইটেড। ম্যাচ গোলশূন্য ছিল, এমন একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মার্টিনসের। আঘাতটা গুরুতর ছিল। আঘাত পেয়েই মাঠে লুটিয়ে পড়েন মার্টিনস। তবে মার্টিনসের ভাগ্য খারাপ, তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেনি মাঠকর্মীরা। মাঠের বাইরে থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালু হচ্ছিল না একদম। ফলে সংবাদমাধ্যমের এক গাড়িতে করে মার্টিনসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দেরি না হলে হয়তো আজ মার্টিনস বেঁচে থাকতেন!

ম্যাচে মার্টিনসের দল জিতেছে যদিও। কাতসিনাকে নাসারাওয়া হারিয়েছে ৩-০ গোলে। কিন্তু এমন খবরের কাছে যে জয়ের আনন্দ ফিকে হয়ে যায়! সতীর্থরা মার্টিনসের খবর শুনে মাঠে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তবে ফুটবল মাঠে মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে মাঠের মধ্যে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার মার্ক-ভিভিয়েন ফো। ২০০৩ কনফেডারেশনস কাপের সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে মাঠেই লুটিয়ে পড়েছিলেন তিনি।

২০০৭ সালে লা লিগায় গেটাফের বিপক্ষে খেলতে নেমে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আন্তোনিও পুয়ের্তা। পরে ড্রেসিংরুমে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। স্কটিশ ক্লাব মাদারওয়েলের হয়ে খেলতে গিয়ে একই ভাবে মারা গিয়েছিলেন ফিল ও’ডোনেল।