কোহলিদের সঙ্গে হাত মেলাবে না প্রোটিয়ারা

>
করোনা-আতঙ্কে চিন্তিত দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি: এএফপি
করোনা-আতঙ্কে চিন্তিত দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি: এএফপি
ভারত সফরে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সাধারণত ম্যাচের আগে ক্রিকেটীয় কেতা অনুযায়ী দুই দলের খেলোয়াড়েরা করমর্দন করলেও দক্ষিণ আফ্রিকা ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে করমর্দন করবে না তারা। করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত

করোনাভাইরাসের আতঙ্ক চলে এসেছে ক্রিকেট বিশ্বেও। মানব-সংস্পর্শ ঠেকাতে ইংল্যান্ড দল ঘোষণা দিয়েছে, শ্রীলঙ্কা সফরে কোনো ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দন করবে না তারা। ওদিকে অস্ট্রেলিয়া অতশত ঝামেলায় যায়নি। তারা বলে দিয়েছে করোনাভাইরাসের জন্য করমর্দন করা থামাবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা ইংল্যান্ডের পথই অনুসরণ করল।

ভারত সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃহস্পতিবার ধর্মশালায়। এই তিন ম্যাচের আগে টসের সময়, ম্যাচের আগে বা ম্যাচশেষে কখনই প্রতিপক্ষের সঙ্গে করমর্দন করবে না প্রোটিয়ারা। জানিয়ে দিয়েছেন তাঁদের কোচ মার্ক বাউচার, ‘ছেলেদের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক কাজ করছে। সুতরাং ভারত সফরে আমরা চেষ্টা করব করমর্দন না করার। এ ব্যাপারে আমার খেলোয়াড়দের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মী থাকবে। আশা করি স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ওরাও এটা মাথা রাখবে। ওর যদি ভাবে এতে আমাদের ক্ষতি হতে পারে, তাহলে আমাদের তা না করাই ভালো।’

জানা গেছে, করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়ায় মানব-সংস্পর্শে। যেখানে জীবন নিয়েই সংশয়, সেখানে ক্রিকেটীয় আদবকেতার কথা মাথায় রাখেই বা কয়জন! ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা চল্লিশ ছাড়িয়েছে। সবকিছু জেনেই প্রোটিয়াদের এই সিদ্ধান্ত।

কয়েক দিন আগে ইংল্যান্ডও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো করমর্দন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইংলিশ অধিনায়ক রুট নিজেই নিশ্চিত করেছিলেন সে খবর। জীবাণু যাতে না ছড়ায়, সে কারণেই করমর্দন করবেন না রুটরা, ‘আমরা একে অন্যের সঙ্গে করমর্দন করছি না। ওটা না করে আমরা “ফিস্ট বাম্প” করব। আমরা নিয়মিত আমাদের হাত ধুচ্ছি, আমাদের ঘরের মেঝে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করছি। সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার বিভিন্ন ব্যবস্থাও করা আছে।’ ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়দের সঙ্গে অন্তত ‘ফিস্ট বাম্প’ করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়েরা কোহলিদের সঙ্গে সেটা করবেন কি না, জানা যায়নি।

অস্ট্রেলিয়া আবার উল্টো পথে হেঁটেছে। ঘোষণা দিয়েছে, করমর্দন বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। আগামী শুক্রবার থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজে যথারীতি করমর্দনই করবেন তাঁরা। ড্রেসিংরুম বা খেলার মাঠের মধ্যে খেলোয়াড়েরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেভাবে একে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করেন, তাতে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষের। এমনটা জানিয়েছেন খোদ দলটার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার, ‘না, আমরা অন্যদের মতো বিকল্প উপায় খুঁজছি না। আমরা যথারীতি করমর্দন করা চালিয়ে যাব। আমাদের যথেষ্ট “হ্যান্ড স্যানিটাইজার” রয়েছে। ফলে করমর্দন করলে কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।’