'বাচ্চা মরিনহো' হারিয়ে দিলেন আসল মরিনহোকে

রাতটা হতাশায় কেটেছে মরিনহোদের। ছবি : এএফপি
রাতটা হতাশায় কেটেছে মরিনহোদের। ছবি : এএফপি
>

গত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে লাইপজিগের কাছে রীতিমতো নাকাল হয়েছে টটেনহাম হটস্পার। ৩-০ গোলে হেরে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে হোসে মরিনহোর দল

প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল টটেনহাম। দ্বিতীয় লেগে আরবি লাইপজিগকে টপকাতে হলে বেশ কষ্ট করতে হতো দলটাকে, তাও আবার বৈরী পরিবেশে। তবে দলটার কোচ হোসে মরিনহো দেখেই আশার প্রদীপটা নিবু নিবু করে জ্বলছিল লন্ডনের ক্লাবটার। কিন্তু নিজেদের মাঠে ঝোড়ো পারফরম্যান্স দেখিয়ে আশার সে প্রদীপটাকে একদম নিভিয়েই দিল লাইপজিগ। ৩-০ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলের অগ্রগামিতা বজায় রেখে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে জার্মান ক্লাবটি।

আর তাতেই চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে তরুণ কোচ হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার কীর্তি গড়া হয়ে গেছে লাইপজিগের জার্মান কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমানের। আগে ‘বাচ্চা মরিনহো’ বলে ডাকা হতো যাকে! সেই বাচ্চা মরিনহোর কাছে হেরেই অধোবদনে বিদায় নিতে হলো আসল মরিনহোকে। এই নিয়ে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় টানা তিনবার নক আউট পর্ব থেকেই বিদায় নিল আলাদা আলাদা দুই ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা কোচ হোসে মরিনহোর দল। মরিনহোর জাদু কী তবে আর কাজ করছে না?

টটেনহামের বিদায় নিশ্চিত করার মূল কাজটা করেছেন লাইপজিগ অধিনায়ক মার্সেল সাবিতজার নিজেই। প্রথমার্ধে নিজেই করেছেন জোড়া গোল। শেষ দিকে সুইডিশ উইঙ্গার এমিল ফোর্সবার্গের এক গোল মিলিয়ে ৩-০ গোলের অনায়াস জয় পেয়েছে জার্মান ক্লাবটি। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে, গতবারের ফাইনালিস্টরা এবার আরও অনেক আগেই বিদায় নিচ্ছে।

তবে এই পরাজয়ের জন্য ভাগ্যকেও দুষতে পারেন মরিনহো। মৌসুমের মাঝপথে দায়িত্ব নিয়েছিলেন টটেনহামের। মরিসিও পচেত্তিনোকে হারিয়ে টটেনহাম তখন সমুদ্র ঝড়ে পথ হারানো এক জাহাজ। সেই দলকে সঠিক পথে আনার কাজে মরিনহোর চরম শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে চোট সমস্যা। এমনিতেই টটেনহামে এক হ্যারি কেইন ছাড়া অন্য কোনো স্ট্রাইকার নেই, সেই কেইন গত জানুয়ারিতে চোটে পড়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন। দলের যেসব উইঙ্গার স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতে পারেন, সেই হিউং মিন সন কিংবা স্টিভেন বার্গউইন, সবাই ভিন্ন ভিন্ন চোটে পড়েছেন। ফর্মের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছেন এরিক ডায়ার, হুগো লিওরিস, ইয়ান ভার্তোনে ও ট্যাঙ্গয় এনদোম্বেলের মতো তারকারা। এই অবস্থায় মূল একাদশ কীভাবে নামাবেন মরিনহো, সেটাই দেখার বিষয় ছিল।

ম্যাচশেষে মরিনহো নিজেও সে দিকে ইঙ্গিত করেছেন, 'লাইপজিগ বেঞ্চে যে কয়জন খেলোয়াড় বসেছিল, তাদের প্রত্যেকের সামর্থ্য আছে আমার টটেনহাম দলে খেলার।'