স্ট্রাইকাররা দিয়েছেন এক গোল, ডিফেন্ডাররা ছয়

ইয়াসিনকে নিয়ে সাইফের এ উল্লাস অবশ্য ম্যাচ শেষে ম্লান হয়ে গেছে। ছবি: বাফুফে
ইয়াসিনকে নিয়ে সাইফের এ উল্লাস অবশ্য ম্যাচ শেষে ম্লান হয়ে গেছে। ছবি: বাফুফে
>বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাতের গোলে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে সাইফ স্পোর্টিং।

চোটের কারণে নেই রুয়ান্ডার ডিফেন্ডার এমেরি বাইসেঙ্গে। একই কারণে মাঠের বাইরে তাজিকিস্তানের ফরোয়ার্ড জাহাঙ্গীর আরগাশেভ। একাদশের নিয়মিত দুই বিদেশি ছাড়া টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারাল সাইফ। আজ এগিয়ে থেকেও আরামবাগের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা।

সাইফ অবশ্য ফরোয়ার্ড আরগাশেভের অভাব বেশি বোধ করছে নাকি ডিফেন্ডার বাইসেঙ্গেকে, সেটা বলা মুশকিল। সাইফের গোল করার দায়িত্ব যে ডিফেন্ডাররা নিয়ে নিয়েছেন। বাইসেঙ্গে গোল করেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল আরেক ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাতের। আজ লিগে নিজের দ্বিতীয় গোল করেছেন এই ডিফেন্ডার। লিগে সাইফের আট গোলের ছয়টিই এসেছে ডিফেন্ডারদের কাছ থেকে। দলের স্ট্রাইকাররা করেছেন মাত্র এক গোল।

স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা সাইফের লিগ যাত্রায় ছাপ ফেলতে শুরু করেছে। প্রথম চার ম্যাচে অপরাজিত দলটি বিদেশি খেলোয়াড়দের হারিয়ে হারিয়েছে ছন্দ। গত ম্যাচে হারের পর আজ একাদশে ফিরেছেন মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া ও দানিয়ের কর্দোবা। নিয়মিত দুই হোল্ডিং মিডফিল্ডার ফেরায় মাঝমাঠটা জমাট ছিল। আক্রমণেও ছিল বৈচিত্র্য। কিন্তু ফরোয়ার্ডরা দিয়েছেন গোল মিসের মহড়া। এ ছাড়া আরামবাগ গোলরক্ষক উত্তম বড়ুয়া প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিল করপোরেট দলটির সামনে।

ম্যাচের ১৭ মিনিটেই আরিফুর রহমানের গোলে এগিয়ে যেতে পারত সাইফ। গোলরক্ষক উত্তম বড়ুয়াকে একা পেয়ে তাঁর গায়ে মারেন জাতীয় দলের এই উইঙ্গার। এর ১০ মিনিট পরেই সাইফকে এগিয়ে নিয়েছেন ইয়াসিন। জামালের কর্নারে হেডে গোলটি করেছেন এই সেন্টারব্যাক। স্থানীয় ফুটবলারদের মধ্যে লিগে দুইটি করে গোল আছে আবাহনী লিমিটেডের স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ, বসুন্ধরা কিংসের উইঙ্গার মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও উত্তর বারিধারার স্ট্রাইকার আরিফ হোসেনের। লিগের এখনো অনেক বাকি, তবু দেশ সেরা ফরোয়ার্ডদের মাঝে ইয়াসিনের এভাবে ঢুকে পড়া নিঃসন্দেহে কৌতূহল উদ্দীপক।

আরামবাগ সমতায় ফেরে ৬২ মিনিটে। মিসরীয় মিডফিল্ডার মোস্তফা মাহমুদের নেওয়া ফ্রি কিকে দিদারুল হকের হেডে সমতায় ফেরে তারা। গোলটি কে করেছেন, এই নিয়ে প্রশ্ন আছে। দিদারুলের হেড পোস্টের সামনে থেকে টোকা দিয়েছিলেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার এলিটা কিংসলে। কিন্তু রেফারি গোলটি দিয়েছেন দিদারুলকে।

এর পরে দুই বার এগিয়ে যাওয়ার যাওয়ার সুযোগ এসেছিল সাইফের সামনে। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল পোস্টে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন তরুণ ফরোয়ার্ড ফয়সাল হোসেন ফাহিম। পরেরবার সাইফের সামনে বাঁধা গোলরক্ষক উত্তম। ওভারল্যাপ করে ওপরে উঠে ক্রস করেছিলেন রাইটব্যাক ইমরান হোসেন। মারাজ হোসেনের নেওয়া ফ্লাইং হেড দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন উত্তম।

এই ড্রয়ে ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে স্থানে সাইফ। ৫ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে আটে আরামবাগ।