আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ হবে তো?

নিজেদের মধ্যে ম্যাচ না হলেও মার্চের শেষ দিকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নামার কথা ছিল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের। ছবি: রয়টার্স
নিজেদের মধ্যে ম্যাচ না হলেও মার্চের শেষ দিকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নামার কথা ছিল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের। ছবি: রয়টার্স
>সূচি অনুযায়ী ২৬ মার্চ আর্জেন্টিনার ম্যাচ নিজেদের মাঠে ইকুয়েডরের সঙ্গে। তার পরের দিন ব্রাজিল খেলবে নিজেদের মাঠে বলিভিয়ার সঙ্গে

ইউরোপে যতটা ভয়াল কালো থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস, দক্ষিণ আমেরিকায় এখনো পর্যন্ত ততটা নয়। গত মাসের শেষ দিক থেকে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলসহ মহাদেশটির অন্য দেশগুলোতে করোনায় মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়াতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত শুধু আর্জেন্টিনায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর দূত হয়ে হাজির হওয়া ভাইরাসটি এখনো তেমন না ছড়ালেও শঙ্কা তো তাতে কমছে না! দক্ষিণ আমেরিকা তাই আগেভাগেই সেটির প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিয়েছে। যে প্রস্তুতির প্রভাব পড়েছে ফুটবলেও। স্থগিত হয়ে গেছে এ মাসের শেষ দিকে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার সবগুলো দেশের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ।

ফিফা আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ২৩ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের যে ম্যাচগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে। ম্যাচগুলো পরে কখন হবে, তা পরে জানানো হবে।

এই ম্যাচগুলো দিয়েই দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেগুলো আপাতত স্থগিত রাখতে ফিফার কাছে অনুরোধটা দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাই (কনমেবল) করেছে। মেসি-নেইমার-হামেস-সুয়ারেজ-সানচেজদের মতো লাতিন আমেরিকান তারকাদের অনেকেই তো খেলেন ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোতেই। আর ইউরোপে করোনার প্রভাব চীনের পর সবচেয়ে বেশি। ইতালিতে এরই মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজারেরও বেশি, স্পেনে ৮৪ জন, ফ্রান্সে ৬১ জন। চিলি তো এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছিল, বার্সেলোনায় খেলা আর্তুরো ভিদাল, ইন্টার মিলানে খেলা অ্যালেক্সিস সানচেজসহ ইউরোপের খেলোয়াড়েরা এলে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।

এই শঙ্কার মধ্যে তাই ম্যাচই স্থগিত করে দিয়েছে ফিফা। সংগঠনের মহাসচিব ফাতমা সামুরা কনমেবলের মহাসচিব হোসে আস্তিগারাগাকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ‘পরে কখন ম্যাচগুলো আয়োজন করা যেতে পারে, সে ব্যাপারে আপনি ও আপনার দলের সঙ্গে আমরা কাজ করে যাব, আলোচনা করে যাব। সেটার জন্য আগে দ্রুত বদলাতে থাকা এই অন্য রকম পরিস্থিতি ভালোভাবে বিবেচনায় রাখতে হবে।’

আগের সূচি অনুযায়ী ২৬ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব। আর্জেন্টিনা সেদিনই নিজেদের মাঠে খেলার কথা ছিল ইকুয়েডরের সঙ্গে, এর পাঁচ দিন পর মেসিদের যাওয়ার কথা ছিল বলিভিয়ায়। ব্রাজিলের ২৭ মার্চ নিজেদের মাঠে বলিভিয়ার সঙ্গে খেলে ৩১ মার্চ যাওয়ার কথা ছিল পেরুর মাঠে। ২৬ মার্চ চিলিকে নিজেদের মাঠে আতিথ্য দেওয়ার পর উরুগুয়ে ৩১ মার্চ খেলার কথা ছিল ইকুয়েডরের মাঠে। চিলির অন্য ম্যাচটি ছিল ৩১ মার্চ নিজেদের মাঠে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। আর চিলি যাওয়ার আগে কলম্বিয়ার বিশ্বকাপ বাছাই শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৭ মার্চ নিজেদের মাঠে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে।