মুশফিকের করোনাভীতি, আছে 'পেটে'র চিন্তাও

করোনা আতঙ্কের মধ্যে অবশ্য মুশফিকুর রহিমকে খেলা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। ছবি: বিসিবি
করোনা আতঙ্কের মধ্যে অবশ্য মুশফিকুর রহিমকে খেলা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। ছবি: বিসিবি
>

করোনাভীতির মধ্যে আয়োজন করা হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। যেহেতু এই লিগে তেমন দর্শক হয় না, বিসিবি তাই স্থগিত করেনি প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। তবে ব্যাটে-বলের লড়াই ছাপিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে করোনা নিয়ে

জীবন আগে, খেলা পরে—করোনাভাইরাস আতঙ্কে ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে পড়ছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গন। স্থগিত হয়ে যাচ্ছে একের পর এক সিরিজ, লিগ, টুর্নামেন্ট। কোথাও কোথাও স্টেডিয়াম দর্শকশূন্য করে কোনোভাবে আয়োজন করা হচ্ছে ম্যাচ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য দর্শকদের নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। প্রিমিয়ার লিগে এখন দর্শক দেখা যায় না খুব একটা। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই তাই শুরু হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে সব দল। ব্যাটে-বলের লড়াই ছাপিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে ঘুরেফিরে আসছে করোনা-প্রসঙ্গ। খেলতে গেলে খেলোয়াড়দের হাত মেলাতে হবে, কোলাকুলি হতে পারে। বলে থুতু লাগাতে হবে। ড্রেসিংরুমে পাশাপাশি বসতে হবে। প্রতিটি কর্মকাণ্ডে ঝুঁকি থাকছে করোনোভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার। আবাহনীতে নাম লেখানো মুশফিকুর রহিম বলছেন, ঝুঁকি থাকলেও জীবিকার টানে ক্রিকেটকে এড়িয়ে চলার উপায় নেই। এই মুহূর্তে শুধু সতর্কতা অবলম্বনই করতে পারেন, ‘অন্য অনেক দেশে খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়েছে, আমাদের দেশেও কয়েকজন শনাক্ত হয়েছে, আমার কাছে মনে হয় যতটা সতর্কতা অবলম্বন করা যায়। আমরা খেলোয়াড়, যদি না খেলি, তাহলে পেট চলবে কীভাবে? সবাই যদি নিজ নিজ কর্তব্য পালন করে, সেটা শুধু নিজের নয়, অন্যরা উপকৃত হবে। অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আপনারা দেখেছেন কোথাও কোথাও খেলা চলছে, গ্যালারি খালি করে হলেও। আমরা যদি সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তাহলে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হবে। সবার আগে জীবন।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর মাহমুদউল্লাহকেও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল করোনা নিয়ে কতটা চিন্তিত তাঁরা। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলছিলেন, করোনা আতঙ্ক থাকলেও খেলা নিয়েই তাঁরা বেশি ভাবছেন, ‘আপাতত ডিপিএল (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ) নিয়ে ভাবছি। এটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমাদের মধ্যে ডিপিএল নিয়েই বেশি কথা হচ্ছে।’

মুশফিক সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলছিলেন। কিন্তু তাঁরা সচেতন হচ্ছেন কীভাবে? পেসার আল আমিন হোসেন বলছেন, ‘টিভি-ফেসবুক দেখেই যা জানছি, শুনছি—এসব দেখেই সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছি। প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ার পর হয়তো নিজেদের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়বে। বুঝতে পারব কী করতে হবে আমাদের।’