৬৮৬ কোটি টাকার মূল্য বুঝেছে লিভারপুল

আদ্রিয়ানের ভুল ডুবিয়েছে লিভারপুলকে। ছবি: রয়টার্স
আদ্রিয়ানের ভুল ডুবিয়েছে লিভারপুলকে। ছবি: রয়টার্স

তাঁকে বলা হতো গোলরক্ষকদের মেসি। এএস রোমার হয়ে এতটাই দুর্দান্ত খেলছিলেন আলিসন বেকার যে তাঁকে দলে টানতে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল লিভারপুল। একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়ে বিনিয়োগটা সফল প্রমাণ করেছেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। পরের চ্যাম্পিয়নস লিগেই আবার শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে লিভারপুল। এ বিদায় আরও ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে আলিসনের গুরুত্ব। সাবেক লিভারপুল খেলোয়াড় তাই বলেছেন, এ কারণেই ভালো গোলরক্ষক পেতে টাকা খরচ করা উচিত।

স্টিভ নিকোল খেলোয়াড় জীবনে যতটা বিখ্যাত বিখ্যাত ছিলেন তার চেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছেন টিভি বিশ্লেষক হিসেবে। ইএসপিএনে বিশ্লেষণ করতে এসে যুক্তির চেয়ে আবেগকেই অবশ্য বেশি গুরুত্ব দিতে দেখা যায় তাঁকে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অতিরিক্ত সময়ে তিন গোল খেয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে গেছে লিভারপুল। ঘরের মাঠকে দুর্গ বানিয়ে ফেলা এক দলের জন্য এমন হার মেনে নেওয়া কঠিন।

অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে চোটের কারণে নামা হয়নি অ্যালিসনের। গোলরক্ষকের বিশ্ব রেকর্ড চেলসির কেপার কাছে হারিয়ে ফেললেও এখনো বিশ্বের সেরা তিন গোলরক্ষকের একজন আলিসন। লিভারপুলের দুর্ভাগ্য প্রতিপক্ষ দলেই ছিলেন তাঁদের একজন। একদিকে লিভারপুলের বিপক্ষে অমানবিক পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন ইয়ান ওবলাক, অন্যদিকে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া লিভারপুলকে ডুবিয়েছেন বিকল্প গোলরক্ষক আদ্রিয়ান। তাঁর ভুলেই মহাগুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে গোল পেয়ে গেছেন মার্কোস ইয়োরেন্তে।

সাবেক লিভারপুল ডিফেন্ডার ম্যাচের পর ইএসপিএনে বলেছেন, ‘আমার কী ধারণা জান? কেউ যদি কখনো জিজ্ঞেস করে কেন গোলরক্ষকের পেছনে ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৬৮৬ কোটি টাকা) খরচ করবে? তাহলে এর উত্তর আজ পেয়ে গেছেন। অতিরিক্ত সময়ে লিভারপুল ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। তারা তো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছেই। একটা গোল না খেলেই হতো। তাদের ম্যাচ আগেই শেষ করা উচিত ছিল। কিন্তু গোলরক্ষকের কারণে হেরেছে তারা।’

২০১৮ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালেও গোলরক্ষকের ভুলে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছিল লিভারপুল। লরিস কারিয়াস সেবার গ্যারেথ বেল ও করিম বেনজেমাকে দুটি গোল উপহার দিয়েছিলেন। সে দুঃখ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নিকোলের মাঝে, ‘অন্য কোনোভাবেই দেখার সুযোগ নেই। আমরা হাতছাড়া করা সুযোগ নিয়ে কথা বলতে পারি কিন্তু বাস্তবতা হলো ক্লিন শিট থাকলেই ওরা উঠে যায়। কিন্তু তিন বছরের মধ্যে এ নিয়ে দুইবার গোলরক্ষকই ডোবাল তাদের।’