বার্সা না রিয়াল - তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভিনিসিয়ুস

মেসির সতীর্থ হওয়ার সুযোগ ছিল ভিনিসিয়ুসের। ছবি: রয়টার্স
মেসির সতীর্থ হওয়ার সুযোগ ছিল ভিনিসিয়ুসের। ছবি: রয়টার্স

ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এখনো দুই সপ্তাহ হয়নি রেকর্ড গড়েছেন। একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে তরুণ ফুটবলার হিসেবে এল ক্লাসিকোতে গোল করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। যেনতেন কেউ নয়, লিওনেল মেসির কাছ থেকেই রেকর্ডটা বুঝে নিয়েছেন ভিনিসিয়ুস। তাঁর গোলেই এবারের এল ক্লাসিকোতে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে প্রায় ৫ বছর পর লিগে ক্লাসিকো জয়ের পেছনে ভিনিসিয়ুসের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই ভূমিকা রেখেছে। অথচ সাদা নয়, বেগুনি-লাল জার্সিটাও তাঁর গায়ে উঠতে পারত।

বিখ্যাত সাময়িকী ফোর ফোর টুর কাছে বড় এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ভিনিসিয়ুস। আগামী মাসে প্রকাশিত হলেও চুম্বক কিছু অংশ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখানেই জানা গেল ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ফ্ল্যামেঙ্গোতে দিনগুলোর কথা। ১৬ বছর বয়সেই ভিনিসিয়ুসের ওপর নজর পড়েছিল বার্সেলোনার। এমনকি কাতালান ক্লাবের সঙ্গে মৌখিকভাবে চুক্তিও করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ আগ্রহ দেখানোয় সব বদলে যায়।

‘২০১৭ সালে দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের পরই ঘটল। পত্রিকায় অনেক গুজব শোনা যাচ্ছিল কিন্তু আমি কখনো সেগুলো বিশ্বাস করিনি। কিন্তু ঠিকই একদিন সেটা হলো। রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা দুই ক্লাবই প্রস্তাব নিয়ে এল। আমি মাত্র তিন দিন সময় পেয়েছি সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। আমি সব সময় সবচেয়ে বড় ক্লাবের হয়ে খেলতে চেয়েছি, তাই রিয়ালকে বেছে নিয়েছি।’

বার্সেলোনা ভেবেছিল ভিনিসিয়ুসকে পেয়েই গেছে তারা। এমনকি নেইমারও বার্সেলোনায় যাওয়ার জন্য ভিনিসিয়ুসকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু বার্সেলোনার সঙ্গে মৌখিক চুক্তির এক সপ্তাহ পরেই রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ভিনিসিয়ুসের নাম পাঠায় তাঁর এজেন্ট ভাগনার রিবেরো। ৪৫ মিলিয়ন ইউরোতে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন ভিনিসিয়ুস। পেশাদার ক্যারিয়ার শুরুর আগেই রিয়ালে যোগ দেওয়ার কারণ, ‘আমার বাবা-মা দুই ক্লাবেই গিয়েছিলেন এবং রিয়ালকেই তাদের বেশি পছন্দ হয়েছে। আমি যা চাচ্ছিলাম, তার সঙ্গে মিল ছিল। আর আমার জন্য ওদের প্রকল্পটি সেরা মনে হয়েছে। তরুণদের বেশি খেলার সময় দেয় তারা। আরা চ্যাম্পিয়নস লিগে তখন অবিশ্বাস্য সাফল্য পাচ্ছিল তখন।’

এত আলোচিত দলবদল অবশ্য ভিনিসিয়ুসের জন্য বোঝা হয়ে উঠেছিল। দলে এসেই দেখেন সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো চলে গেছেন। এমনকি ক্লাবকে টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ এনে দেওয়া কোচ জিনেদিন জিদানও নেই। নতুন কোচ হুলেন লোপেতেগি তাঁকে সুযোগই দেননি খেলার। মাত্র ৪২ মিনিট মাঠে নামতে পেরেছিলেন। সোলারির অধীনে ভাগ্য খোলে ভিনিসিয়ুসের। সে কঠিন সময়টা ভিনিসিয়ুসকে নতুন করে নিজেকে গড়ে নেওয়ায় উদ্বুদ্ধ করেছে, ‘এটা কঠিন একটা সময় ছিল। নিয়মিত খেলার চেয়ে কঠিন কাজ ছিল মানুষকে দলবদলের অঙ্কটা ভোলানো। ভাগ্য ভালো, প্রথম মৌসুমে আমি অনেক খেলেছি। এখন তো রিয়ালের হয়ে ৫০ ম্যাচও খেলা হয়ে গেছে। খুব কম খেলোয়াড়ই এই বয়সে সেটা করতে পেরেছে।’