করোনা এড়াতে তামিমের 'কনুইমর্দন'

করোনা থেকে বাঁচতে হাত মেলানোর বিকল্প উপায় বের করেছেন তামিম ইকবাল। ছবি: প্রথম আলো
করোনা থেকে বাঁচতে হাত মেলানোর বিকল্প উপায় বের করেছেন তামিম ইকবাল। ছবি: প্রথম আলো

বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলনে এসে আজ একটু ব্যতিক্রম ধর্মীভাবেই সতীর্থ, কোচদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন তামিম ইকবাল। হাত না মিলিয়ে মেলালেন কনুই। করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ এড়িয়ে চলতেই বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কের এমন উপায় বের করা। করমর্দনের পরিবর্তে কনুইমর্দন।

সারা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই রোগ প্রতিরোধে নানা সতর্কতা আর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে। এসব নির্দেশনার অন্যতম— হাত মেলানো যাবে না আলিঙ্গন করা যাবে না। এখন ক্রিকেটে তো হাত মেলানো খুবই নিয়মিত দৃশ্য। টসের পর দুই অধিনায়ক হাত মেলান। শেষ দুই দলের খেলোয়াড়েরা সারবেঁধে হাত মিলিয়ে মাঠ ছাড়েন। ক্রিকেটারেরা হাত মেলার আম্পায়ারদের সঙ্গেও। করোনার মৌসুমে এই রীতি ডেকে আনতে পারে ভয়ংকর বিপদ।

সে জন্যই করোনা-সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে তামিমের কাছে ‘কনুইমর্দনই’ সেরা উপায় মনে হচ্ছে, ‘যত কম করা যায় (করমর্দন)। আমাদের সংস্কৃতিতে হাত না মেলানো হয়তো অনেকে পছন্দ করবে না। তবে পরিস্থিতি এমনই, হ্যান্ড শেকের বিকল্প কিছু করতেই হবে। এলবো শেক বা কনুই মেলানো সেরকম একটা কিছু হতে পারে।’

ঝুঁকি অবশ্য কনুই মেলানোতেও থেকে যায়। করোনাভীতির মধ্যেই তো কাল থেকে তামিমদের খেলতে হবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ! লিগ যেহেতু খেলতেই হবে, সতর্কতা অবলম্বনই সেরা পন্থা। তবে আর সবার মতো প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের তামিমকেও ভাবাচ্ছে করোনা-আতঙ্ক, ‘আমরা সবাই এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে পুরো বিশ্ব যত দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারে, সেটাই মঙ্গল। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে একটা একটা করে খেলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যারা দায়িত্বে আছেন তাঁরা নিশ্চয়ই অনেক চিন্তাভাবনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আপাতত আমাদের বলা হয়েছে খেলতে। আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত। সামনে যে সিদ্ধান্তই আসবে, আমরা সেটি মেনে চলব।’