মোহামেডানের সমর্থন 'ত্যাগ' করেছিলেন মুশফিক

এক সময় মোহামেডানের সমর্থক মুশফিক এখন আবাহনীর। ছবি: প্রথম আলো
এক সময় মোহামেডানের সমর্থক মুশফিক এখন আবাহনীর। ছবি: প্রথম আলো
>এক সময় মোহামেডানের সমর্থক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর প্রিয় দল রং হারানোয় তিনি সমর্থন ত্যাগ করে আবাহনীর সমর্থক বনে যান

মুশফিকুর রহিম এই প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন আবাহনী লিমিটেডের হয়ে। কাল দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এ ক্লাবের জার্সিতে অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। পারটেক্সের বিপক্ষে এ ম্যাচে জয়ও পেয়েছে আকাশি-নীল শিবির। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে একটা মজার তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান—এক সময় মোহামেডানের সমর্থক ছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ের সেই সমর্থন ‘ত্যাগ’ করে আবাহনীর সমর্থন হয়ে যান।

দেশের খেলার ইতিহাসের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই আবাহনী ও মোহামেডান। হালে এই দুই ক্লাবের দ্বৈরথ রং হারালেও সমর্থকেরা কিন্তু নিজেদের সমর্থন আজও ধরে রেখেছেন। আপাত নির্লিপ্ত অনেক সমর্থকের মধ্যেই মাঝে মধ্যে সুপ্ত সমর্থনটা জেগে ওঠে। আবাহনীর সমর্থক মোহামেডান হয়ে গেছেন, কিংবা মোহামেডানের সমর্থন বাদ দিয়ে কেউ আবাহনীকে সমর্থন করছেন—এমনটা খুব বেশি দেখা যায় না। তবে মুশফিক নিজের সমর্থন পরিবর্তনের জন্য দায়ী করেছেন মোহামেডানের করুণ অবস্থাকেই, ‘সত্যি বলতে কি, আমি একটা সময় মোহামেডানের সমর্থক ছিলাম। পরে যখন দেখলাম, আবাহনী সব সময় সেরা দল বানায় এবং ফুটবলে ও ক্রিকেটে নিয়মিত চ্যাম্পিয়ন হয়, আস্তে আস্তে আবাহনীর প্রতি আমার দুর্বলতা বাড়ে। সাপোর্টার হিসেবে তো আপনি সব সময় চাইবেন, জয়ের ভেতরে থাকে এমন দলকে সাপোর্ট করতে। সেদিক থেকে আবাহনীই সেরা।’

তবে মুশফিককে ছুঁয়ে যায় আবাহনী-মোহামেডানের সেই উত্তেজনাকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে তাঁর আফসোস দেশের খেলাধুলার ওই সময়টা দেখার সুযোগ হয়নি বলে, ‘আবাহনী-মোহামেডানের অনেক গল্প শুনেছি। ওই সময় আবাহনী বা মোহামেডানের কেউ যদি কোনো ম্যাচ হেরে যেত, তাহলে নাকি অনেক রাত পর্যন্ত মাঠ থেকে বের হতে পারত না। আমার সে সময়টা দেখার সুযোগ হয়নি।’

একটা সময় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ ছিল খুব জমজমাট। হাজার হাজার দর্শকে মুখরিত থাকত ঘরোয়া ক্রিকেটের এই আসর। ক্লাব-প্রতিদ্বন্দ্বিতার রেশ লাগত ক্রিকেটারদের শরীরেও। নব্বইয়ের দশকে আবাহনী-মোহামেডানের একটা ক্রিকেট লিগের ম্যাচ দেখতেই চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার দর্শক মাঠে আসত। মুশফিক সে দিনগুলোও পাননি। তবে হালে ঘরোয়া লিগের ম্যাচে দর্শক না থাকার একটা ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন, ‘আসলে এখন মানুষ এত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখে যে তাদের আলাদা করে সময় বের করে লিগের ম্যাচ দেখা হয়তো তাদের সম্ভব হয়ে ওঠে না।’