করোনাভাইরাসের মধ্যেই খেলা চান মাহমুদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে মিরপুরের বিসিবি একাডেমি মাঠে কেক কাটছেন আবাহনীর কোচ-খেলোয়াড়েরা। ছবি: বিসিবি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে মিরপুরের বিসিবি একাডেমি মাঠে কেক কাটছেন আবাহনীর কোচ-খেলোয়াড়েরা। ছবি: বিসিবি

করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনেই নেমে এসেছে স্থবিরতা। বন্ধ হয়ে গেছে সব খেলা। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। গতকাল হওয়া এক সরকারি নির্দেশনার পর আজ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের সব খেলাই। সবার একটাই কথা—আগে জীবন। তারপর খেলা।

ব্যতিক্রম বিসিবি পরিচালক ও আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ। ভয়াবহ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। তাঁর কথা, ‘আমরা মাঠের মানুষ। আমরা চাই খেলা শুরু হোক। খেলোয়াড়েরাও তা-ই চায়।’ আজ বিসিবির একাডেমি মাঠে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছেন, ‘করোনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, বসে থাকলে তো হবে না। মাঠে তো দেখেছেন কটা লোক আসে। অফিস-আদালত এখনো বন্ধ হয়নি। ওখানে তো লাখ-লাখ মানুষ থাকেন। সেখানে যদি ভয়াবহ না হয়, তাহলে খেলাধুলা কেন নয়?’

প্রিমিয়ার লিগ হলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনো শঙ্কা দেখেন না মাহমুদ। বিশেষ ব্যবস্থায় হলেও তাই খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে তিনি, ‘ক্রিকেট তো শারীরিক স্পর্শের খেলা নয়। প্রিমিয়ার লিগে তেমন মানুষও হয় না। হাতেগোনা যে কটা মানুষ আসে, অনেক দূরে থাকে। খেলোয়াড়দের তো কাছে আসতে পারে না। আমরা যদি সেভাবে ব্যবস্থা করি এবং সরকারের কাছ থেকে যদি সেরকম অনুমতি পায়, তাহলে অবশ্যই খেলাটা তাড়াতাড়ি শুরু করা উচিত।’

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ ছিল ছুটির মেজাজে। অবশ্য সরকারি ছুটি না থাকলেও মিরপুর এমন ঘুমন্তই থাকত। খেলা না থাকলে মাঠ, স্টেডিয়াম স্থবির হয়ে পড়াটাই তো স্বাভাবিক! করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আপাতত এক রাউন্ড স্থগিত। এর মধ্যেই একাডেমি ভবনে থাকা আবাহনীর ক্রিকেটারদের নিয়ে আজ মাহমুদ মাঠে নেমেছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটতে। হালকা ফুটবলও খেলেছেন ক্রিকেটারেরা।

মাহমুদের দুশ্চিন্তা, খেলা না হলে ক্রিকেটারেরা বাড়ি ফিরে যাবেন। গণপরিবহনে চড়বেন। তখনই বরং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয় বেশি। খেলা চললেই তারা বেশি নিরাপদ। কারণ ক্রিকেটারেরা তখন মিরপুরে বিসিবির একাডেমি ভবনে থাকবেন।

আবাহনীর কোচ হিসেবে মাহমুদ নিজ দলের খেলোয়াড়দের নিরাপদে রাখতে চাইতেই পারেন। কিন্তু লিগটা তো শুধু আবাহনীর ক্রিকেটারেরাই খেলবেন না। অন্য ক্লাবের খেলোয়াড়দেরও খেলতে হবে। তাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থেকে বাঁচাবে কে? তারা তো আর আবাহনীর ক্রিকেটার নন যে, বিসিবির ‘নিরাপদ ছাউনি’ একাডেমি ভবনে থাকার সুযোগ পাবেন!