রক্ষা পেলেন না বিশ্বকাপজয়ী এই তারকাও

ব্লেইজ মাতুইদি। ছবি : এএফপি
ব্লেইজ মাতুইদি। ছবি : এএফপি
>জুভেন্টাসের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ফরাসি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ব্লেইজ মাতুইদি

গত দশকের অন্যতম কার্যকরী মিডফিল্ডার মানা হয় তাঁকে।

দল অন্তঃ প্রাণ এই তারকাকে নিয়ে অতটা মাতামাতি না হলেও তিনি যখন খেলেন না, মনে হয় কী যেন একটা নেই। সেঁত এতিয়েঁ, পিএসজি, জুভেন্টাস—রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে সব ক্লাবের রক্ষণভাগ রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করেন সুচারুভাবে। দলের প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় খেলতে রাজি এই মিডফিল্ডার ফ্রান্সের হয়ে খেলেছিলেন লেফট উইঙ্গার হিসেবে। যা ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম প্রধান ফর্মুলা ছিল। সেই ব্লেইজ মাতুইদি বিশ্বকাপ জিততে পারলেও করোনাভাইরাসকে ফাঁকি দিতে পারলেন না। গতকাল জুভেন্টাস আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে খবরটি।

জানা গেছে, গত ১১ মার্চ থেকে এই ফুটবলার অন্যদের থেকে আলাদা আছেন। কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে তাঁকে। শারীরিক অবস্থা এখন উন্নতির দিকে, করোনাভাইরাসের অন্যান্য লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না তাঁর মধ্যে বলে জানিয়েছেন ক্লাবটি।মাতুইদির আগে জুভেন্টাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ডিফেন্ডার দানিয়েলে রুগানি।

প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাস জেঁকে ধরেছে ইতালিকে। এ পর্যন্ত ২৭,৯৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১৫৯টি দেশ ও অঞ্চলে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। মারা গেছেন ৭৫২৯ জন।

ইতালিতে সব ধরনের খেলা স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ আছে শীর্ষ লিগ সিরি আ। জুভেন্টাসের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অনেক আগে থেকেই নিজের মায়ের কাছে পর্তুগালের মাদেইরাতে চলে গেছেন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য। মাতুইদি ও রুগানি ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফুটবলার ও ম্যানেজারদের মধ্যে রয়েছেন মানোলো গাবিয়াদিনি, ক্যালাম হাডসন-ওডোই, মিকেল আরতেতা, এজেকিয়েল গ্যারায়, এলিয়াকুইম মাঙ্গালা, প্যাট্রিক কুত্রোনে, জার্মান পেজ্জালা প্রমুখ।