করোনার কারণে সুবিধা হয়েছে সুয়ারেজ-হ্যাজার্ডদের

ওসমানে ডেম্বেলে, লুইস সুয়ারেজ ও এডেন হ্যাজার্ড। এএফপি ফাইল ছবি
ওসমানে ডেম্বেলে, লুইস সুয়ারেজ ও এডেন হ্যাজার্ড। এএফপি ফাইল ছবি
>করেনাভাইরাস সংক্রমণরোধে স্থগিত হয়েছে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় সব ফুটবল লিগ। এতে লাভই হয়েছে কিছু ফুটবলারের

করোনাভাইরাসে থমকে গেছে ফুটবল। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় সব লিগ স্থগিত। ফুটবলাররা ঘরে বসে বেকার দিন পার করছেন। এ পরিস্থিতি কারও কাম্য নয়। তবে করোনা থাবায় খেলা বন্ধ হওয়ায় কিছু ফুটবলারের কিন্তু লাভও হচ্ছে।

বেশি দিন আগের ঘটনা নয়, টটেনহাম কোচ হোসে মরিনহো বলেছিলেন কথাটা। ফুটবলারদের চোটের কারণে তিনি দল বানাতে পারছেন না। লুইস সুয়ারেজকে নিয়ে হতাশার কথা শুনিয়েছিলেন কিকে সেতিয়েন। হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানোয় মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য সুয়ারেজকে হারানোর কথা বলেছিলেন সেতিয়েন। এডেন হ্যাজার্ড ও ওসমানে ডেম্বেলেকে নিয়েও একই দশা ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের। চোট প্রবণ এ দুই তারকাকে ইউরোয় দেখার ব্যাপারে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম স্বাভাবিকভাবেই খুব একটা আশাবাদী না।

করোনা আতঙ্কে ফুটবল লিগগুলো স্থগিত হওয়ায় এসব ফুটবলারদের কিন্তু সুবিধাই বেশি। মৌসুমে মাঠে নামার সম্ভাবনা ছিল না তাদের। কিন্তু এখন সম্ভাবনাটা উঁকি দিচ্ছে। খেলা যে খুব দ্রুত পুনরায় শুরু হচ্ছে না তা মোটামুটি নিশ্চিত। এর মধ্যে চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার মতো সময়টুকু পাচ্ছেন সুয়ারেজ-হ্যাজার্ডরা। ২০২০ ইউরো এক বছর পিছিয়েছে উয়েফা। চ্যাম্পিয়নস লিগ, প্রিমিয়ার লিগ, সিরি আ, লা লিগা স্থগিত করা হয়েছে। মে মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল ক্লাব টুর্নামেন্টগুলো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, আগামী মৌসুমের জন্য পূর্বনির্ধারিত সময়ে ঢুকে যেতে পারে এখনকার সূচি।

জানুয়ারিতে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করান সুয়ারেজ। চার মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগে বেশির ভাগ ম্যাচই খেলতে পারেননি বার্সেলোনা তারকা। এ দুটি টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ায় সুয়ারেজের খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে (যদি টুর্নামেন্টগুলো পুনরায় শুরু হয়)। এমনকি শেষ ষোলো ফিরতি লেগেও তিনি ফিরতে পারেন। সে ক্ষেত্র পিছিয়ে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস লিগ পুনরায় শুরু হতে হবে আগামী মাসে। করোনা গোটা বিশ্বে যেভাবে মহামারি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ আরও পরে মাঠে গড়ালেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।

ডেম্বেলে তো গোটা মৌসুমের জন্যই মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। হ্যামস্ট্রিংয়ে অস্ত্রোপচার করানোয় ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। অর্থাৎ বার্সার হয়ে এ মৌসুমের পাশাপাশি ইউরোতেও খেলার সম্ভাবনা ছিল না তাঁর। একই কথা খাটে হ্যাজার্ডের ক্ষেত্রেও। পায়ে অস্ত্রোপচারের জন্য ক্লাবের হয়ে মৌসুম ও দেশের হয়ে ইউরোয় খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছিল বেলজিয়ান তারকার।

কিংবা ইংল্যান্ডের মার্কাস রাশফোর্ড। চোটের কারণে তাঁর ইউরোয় খেলার সম্ভাবনা ছিল খুব কম। কিন্তু মহাদেশীয় এ চ্যাম্পিয়নশিপ পিছিয়ে নেওয়ায় লাভই হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকার। টটেনহামে যেমন হ্যারি কেইন, সন হিউং মিন, স্টিভেন বার্গউইন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পল পগবা, লিভারপুলে অ্যালিসন বেকার—এরা সবাই কমবেশি চোটে ভুগে রয়েছেন মাঠের বাইরে। লিগ স্থগিত হওয়ায় তাই এক অর্থে লাভই হয়েছে তাদের।