আইপিএল নিয়ে ১৩৭৫ কোটি টাকার প্রশ্ন

আইপিএলের গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। ছবি: এএফপি
আইপিএলের গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। ছবি: এএফপি
>

আইপিএল পিছিয়ে যাওয়ায় ভাবনায় পড়েছে মাঠের ভেতর ও বাইরের স্পনসর প্রতিষ্ঠানগুলো

আইপিএল নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। করোনাভাইরাস আতঙ্কে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পেছানো হয়েছে আইপিএল। এখন এ টুর্নামেন্ট কবে শুরু হবে সে নিশ্চয়তা নেই। কেউ বলছেন কাট-ছাঁট করে হতে পারে। স্পনসর প্রতিষ্ঠান এবং দলগুলো তাতে নিমরাজি। কাট-ছাঁট করে আইপিএল আয়োজন করা হলে তাদের আয়ে ভাটা পড়বে। শনিবার বিসিসিআই ও ফ্র্যাঞ্চাইজি দল মালিকদের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে জুলাই-সেপ্টেম্বরের দিকে ভারতে না হলে বিদেশের মাটিতে, এমনকি তারকা ক্রিকেটারের উপস্থিতি কম থাকলেও আইপিএলের পুরো সংস্করণই খেলানো হতে পারে।

কিন্তু যদি কাট-ছাঁট করে খেলানো হয় আইপিএল? তখন লগ্নিকৃত অর্থ থেকে কতটুকু উঠে আসবে সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছে স্পনসর প্রতিষ্ঠানগুলো। ‘ইকোনমিক টাইমস’-এর ভাষায়, এটি আইপিএল স্পনসরদের ১২০০ কোটি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩৭৫ কোটি টাকা) রুপির প্রশ্ন।

এই ১২০০ কোটি রুপির মধ্যে মাঠে ৬০০ কোটি রুপি লগ্নি করেছে স্পনসর প্রতিষ্ঠানগুলো। বাকি ৫০০ কোটি রুপি টিম স্পনসর। ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, আইপিএলের পুরো সংস্করণ মাঠে না গড়ালে কিংবা দর্শকহীন মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হলে চুক্তি নতুন করে করার কথা ভাবছে স্পনসর প্রতিষ্ঠানগুলো। এপিএসি-র প্রধান নির্বাহী আশীষ ভাসিন বলেন, ‘আইপিএল নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় মাঠের স্পনসরে এর প্রভাব পড়বে এবং সবাই নতুন করে চুক্তির কথা ভাবছে—যদি খেলাগুলো দর্শকহীন এবং কয়েকটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়।’

কোকা-কোলা, আমাজন, ভিভো, ফোনপে-র মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো আইপিএলে প্রচুর অর্থ লগ্নি করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকে আইপিএল স্পনসর থেকে ৫০০ কোটি রুপি করে তুলে নেওয়ার অঙ্ক কষেছে এত দিন। আইপিজি মিডিয়াব্র্যান্ডসের প্রধান নির্বাহী শশী সিনহা বলেন, ‘লোকসানের সঠিক অঙ্ক এখনই পরিমাপ করা কঠিন। দর্শকহীন মাঠে খেলা হলে দল ও মাঠের স্পনসর টিভিতে দেখবেন তারা। স্টেডিয়ামের ভেতরে সাড়া থাকবে না, তাই প্রভাব তো পড়বেই।’

২১৯৯ কোটি রুপি খরচায় আইপিএলে পাঁচ বছরের টাইটেল-স্বত্ব কিনেছে ভিভো। এ ছাড়াও মাঠের স্পনসর প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে টাটা মোটরস, এফবিবি, ড্রিম১১—এদের সবাই এ মৌসুমে ৪০ কোটি রুপি করে দেবে। ২৮ ও ২৩ কোটি রুপি করে দেবে আম্পায়ার পার্টনার পে-টাইম ও স্ট্র্যাটেজিক টাইমআউট পার্টনার সিয়াট। বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র বলেছেন, ‘সবাই এখন নতুন কৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত। কোনো টিকিট বিক্রি না হলে, মাঠে দর্শক না থাকলে এবং খেলাগুলো শুধু টিভিতে দেখালে বেশ কিছু স্পনসর প্রতিষ্ঠান সরে দাঁড়াতে পারে কিংবা নতুন করে চুক্তির আবেদন করতে পারে।’