রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক সভাপতির অবস্থা আশঙ্কাজনক

ট্রফি নিয়ে লরেঞ্জো সাঞ্জের উল্লাস। ছবি : এএফপি
ট্রফি নিয়ে লরেঞ্জো সাঞ্জের উল্লাস। ছবি : এএফপি
>

রিয়াল মাদ্রিদের ৭৬ বছর বয়সী সাবেক সভাপতি লরেঞ্জো সাঞ্জ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছে

লরেঞ্জো সাঞ্জের সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের সম্পর্কটা আজকের না।

১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর ক্লাবের পরিচালক ছিলেন। র‍্যামন মেন্দোজার পর ১৯৯৫ সালে তিনি রিয়ালের সভাপতি হন। তাঁর অধীনে রিয়াল একবার করে লিগ ও সুপার কাপ আর দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে। সেই লরেঞ্জো সাঞ্জই আজ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ৭৬ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ীর শরীরে ধরা পড়েছে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। এখন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে তাঁকে।

সাঞ্জ যখন রিয়ালের সভাপতি হলেন ক্লাবের তখন অর্থনৈতিক দুর্দশা। তা সত্ত্বেও নিজ পকেটের টাকা দিয়ে ভ্যালেন্সিয়ার তারকা সার্বিয়ান স্ট্রাইকার প্রেদ্রাগ মিয়াতোভিচ ও সেভিয়ার তারকা ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার ডেভর সুকারকে কিনতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে দুজনকেই পেয়েছিলেন।

সুকার ও মিয়াতোভিচ ছাড়াও সাঞ্জ দলে নিয়ে আসেন আরও বেশ কয়েকজনকে। তাঁদের মধ্যে আছেন—ক্লারেন্স সিডর্ফ (সাম্পদোরিয়া), রবার্তো কার্লোস (ইন্টার মিলান), বোদো ইগনার (কোলন), ক্রিশ্চিয়ান পানুচ্চি (এসি মিলান), ফার্নান্দো মরিয়েন্তেস (রিয়াল জারাগোজা), স্যামুয়েল ইতো (রিয়াল মায়োর্কা), নিকোলাস আনেলকা (পিএসজি), স্টিভ ম্যাকমানামান (লিভারপুল)। তাঁর সময়ে ক্লাব ছাড়া তারকাদের মধ্যে রয়েছেন ইভান জামোরানো (ইন্টার মিলান), লুইস এনরিকে (বার্সেলোনা) প্রমুখ। দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেও সমর্থকদের মন রাখতে পারেননি। ২০০০ সালের সভাপতি নির্বাচনে হেরে যান বর্তমান সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের কাছে।

কিছুদিন আরেক স্প্যানিশ ক্লাব মালাগারও মালিক ছিলেন সাঞ্জ। পরে ইতালিয়ান ক্লাব পারমাকেও কিনতে চেয়েছিলেন, পারেননি। ২০০৯ সালে স্প্যানিশ চিত্রকর্ম পাচারের দায়ে গ্রেপ্তার হন সাঞ্জ। সাঞ্জের আরেকটি পরিচয়—রিয়ালের সাবেক তারকা ডিফেন্ডার মিশেল সালগাদোর শ্বশুর তিনি।