২০ কেজি ওজন কমে গেছে, সেঞ্চুরির পর তামিমের অনুভূতি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করায় পাহাড় সমান চাপ থেকে মুক্তি মেলে তামিম ইকবালের। ছবি: প্রথম আলো
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করায় পাহাড় সমান চাপ থেকে মুক্তি মেলে তামিম ইকবালের। ছবি: প্রথম আলো

আরও একবার যেন ২০১৫ সালে ফিরে গিয়েছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। পরিস্থিতিটা যে প্রায় একই রকম। ব্যাটে রান নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কড়া সমালোচনা। তামিম যেন একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিলেন।

২০১৫ বিশ্বকাপ–ব্যর্থতার পরও তামিম ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই খোঁজ পেয়েছেন ক্যারিয়ারের সেরা সময়ের। কিন্তু তামিমের এই দুর্দান্ত ফর্ম শেষ হয় আবার ২০১৯ বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচ খেলে ১ ফিফটিতে করেছেন মাত্র ২৩৫ রান।

গতকাল প্রথম আলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ–ব্যর্থতা নিয়ে তামিম বলেছেন, ‘২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খুবই ভালো কেটেছে আমার। এরপর ২ মাসে সব বদলে গেল। ৪ বছরের কষ্ট ২ মাসে ভুলে যাওয়া উচিত না। আমার ক্ষেত্রে সবাই ভুলে গিয়েছিল। আমি নিজেকেই দোষ দিচ্ছি ব্যর্থতার জন্য। কারণ আমি বিশ্বকাপে সাফল্য এতটাই চেয়েছিলাম যে নিজের ওপর অনেক চাপ দিয়ে ফেলেছিলাম। এটাই ব্যর্থতার বড় কারণ।’

২০১৯ বিশ্বকাপ ব্যর্থতা বলয় থেকে দ্রুত বেরোতে পারেননি তামিম। শ্রীলঙ্কা সফরে আরও তিনটি ওয়ানডে খেলে তিনটিতেই রান পাননি। এরপর লম্বা বিশ্রাম নিয়ে ক্রিকেটের বাইরে সময় কাটিয়েছেন। এ বছর পাকিস্তান সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেও চেনা ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তামিম। আউট হচ্ছিলেন উইকেটে থিতু হয়ে।

তবে তামিম জানতেন, তিনি বড় ইনিংস থেকে খুব দূরে নেই, ‘আমি তখন মানসিকভাবে ভঙ্গুর ছিলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমার একটা ইনিংস দরকার ছিল। আমি পাকিস্তানে ভালো ব্যাটিং করছিলাম। তবে বড় রান পাচ্ছিলাম না। আমি নিজেও জানতাম যে এটা শুধুই সময়ের ব্যাপার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যখন সেঞ্চুরি করলাম, তখন মনে হয়েছে আমার ওজন ২০ কেজি কমে গেছে। ২০১৫ সালেও একই ঘটনা ঘটেছিল। আপনার ওই একটু ভাগ্য দরকার, এক-দুইটা বাউন্ডারি। ওই ভাগ্যটাই দরকার স্বাভাবিক হতে।’