বার্সেলোনার প্রতি ভালোবাসার গল্পগুলো সব মিথ্যা?

মেসিদের সঙ্গে খেলার জন্য বেতন কম নেননি ফ্যাবিগ্রাস। ফাইল ছবি
মেসিদের সঙ্গে খেলার জন্য বেতন কম নেননি ফ্যাবিগ্রাস। ফাইল ছবি

এ গল্প নতুন নয়। প্রতি দলবদলেই শোনা যায়। কোনো খেলোয়াড়কে দলে নেওয়ার জন্য লড়ছে দুই দল। তার এক প্রান্তে স্প্যানিশ দুই পরাশক্তির একজন থাকলেই পরে শোনা যায়, অন্য কোথাও আরও বেশি বেতনের প্রস্তাবের পরও বার্সেলোনা বা রিয়াল মাদ্রিদকে বেছে নিয়েছেন ওই খেলোয়াড়। আর রিয়াল-বার্সেলোনাই যদি কাউকে নিয়ে টানাটানি করে তবে এটা বলা যেন বাধ্যতামূলক! কিন্তু বার্সেলোনার পক্ষ থেকে বলা এ গল্পগুলো নাকি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিথ্যা।

শুধু টানাটানির ক্ষেত্রেই নয়, যখনই শোনা যায় অন্য ক্লাবের সঙ্গে দলবদলে বনিবনা হচ্ছে না বার্সেলোনার, ঠিক তখনই ওই খেলোয়াড় নাকি নিজ থেকে কিছু অর্থ দলবদলের জন্য দিয়ে দেন কিংবা বেতন কম নেন, যাতে বার্সেলোনার আর্থিক ক্ষতি না হয়। এমনটা শোনা গেছে ফিলিপে কুতিনহোর ক্ষেত্রে। শোনা গেছে সেস্ক ফ্যাবিগ্রাস কিংবা নেইমারের ক্ষেত্রেও। এ গল্পগুলোও নাকি পুরোপুরি সত্য নয়। অন্তত স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কার দাবি তাই। করোনার দিনগুলোতে পত্রিকাটি কিছু বিশেষ প্রতিবেদন দিচ্ছে ‘যে গল্পগুলো আমরা বলিনি কখনো’—এর তৃতীয় পর্বে বলা হয়েছে বার্সার দলবদলের খবরটি।

২০১৯ এর দলবদলের মৌসুমে নেইমারের বার্সেলোনায় ফেরার গুঞ্জন উঠেছিল। এ সময় বলা হয়েছিল পিএসজি থেকে বার্সায় ফেরার জন্য নিজের বেতনও কমিয়ে ফেলবেন নেইমার। এটাও বলা হয়েছিল নেইমারকে ফেরাতে অন্য খেলোয়াড়রা কম বেতন নিতে আগ্রহী।

কিন্তু মার্কার দাবি, সবই মিথ্যা। ফিলিপে কুতিনহো এবং আঁতোয়ান গ্রিজমানের ক্ষেত্রেও এমনটা বলা হয়েছিল। সবার আগে অবশ্য সেস্ক ফ্যাব্রিগাসের ক্ষেত্রেই এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। বিশ্বকাপ জয়ের পর এই মিডফিল্ডার আর্সেনালের নেতৃত্ব ফেলে এসেছিলেন বার্সেলোনায়। বিশ্বকাপ জেতার উদ্‌যাপনের সময় সে সময়কার আর্সেনালে খেলোয়াড় ফ্যাব্রিগাসের গায়ে বার্সেলোনার জার্সি পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবু আর্সেনাল থেকে তাঁকে সহজে আনতে পারেনি বার্সেলোনা। সেটা হতে দেননি আর্সেন ওয়েঙ্গার।

২০১১ সালে বলা হয়েছিল, আর্সেনালে যে বেতন পেতেন ফ্যাবিগ্রাস, সেটা থেকে বছরে ৩ মিলিয়ন কম নেবেন বার্সেলোনাতে। কিন্তু সেটা ছিল অর্ধসত্য। বার্সেলোনায় যোগদানের সময় বেতন আসলেই কম নিয়েছিলেন ফ্যাবিগ্রাস। সেটা বার্সেলোনার বার্ষিক হিসাব নিকাশের নেতিবাচক প্রভাব আটকাতে। পরে ঠিকই চুক্তির শেষ দিকে প্রথমে না দেওয়া বেতন পুষিয়ে দিতে হয়েছিল বার্সাকে।

লিভারপুল থেকে হাভিয়ের মাচেরানোকে আনার সময়ও একাজ করেছিল বার্সেলোনা। প্রথমে বলা হয়েছিল, আগের চেয়ে কম বেতনে বার্সেলোনায় যাচ্ছেন মাচেরানো। কিন্তু আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক পরে ঠিকই ওই ‘কম বেতন’ সুদে-আসলে বুঝে নিয়েছেন।