করোনা ঠেকাতে আবার ডাক্তার হলেন ক্লাব সভাপতি

ক্লাবের সাবেক খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ভারান্দাস (বাঁয়ে)। ছবি: ভারান্দাসের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট
ক্লাবের সাবেক খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ভারান্দাস (বাঁয়ে)। ছবি: ভারান্দাসের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট
>

করোনাভাইরাসের প্রকোপে থেকে দেশবাসীকে বাঁচানোর জন্য পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনের সভাপতি ও সাবেক চিকিৎসক ফ্রেদেরিকো ভারান্দাস ফুটবল বাদ দিয়ে আবারও চিকিৎসা পেশায় ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন

আগে ডাক্তারই ছিলেন। নোভা ইউনিভার্সিটি অব লিসবন থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিগ্রি নেওয়া ফ্রেদেরিকো ভারান্দাস বহুদিন স্পোর্টিং লিসবনের চিকিৎসক দলের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৮ থেকে ডাক্তারি ছেড়ে ক্লাবের সভাপতিও হয়েছেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা দেখে আবারও চিকিৎসা পেশায় ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।

চিকিৎসাবিজ্ঞান ছাড়াও মিলিটারি মেডিসিনে ডিগ্রি নেওয়া স্পোর্টিং লিসবনের বর্তমান সভাপতি পুনর্বাসন গবেষক হিসেবেও প্রসিদ্ধ। পর্তুগিজ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন বহুদিন। পরে লেফটেন্যান্টও হয়েছেন। ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা থাকার কারণে যোগ দিয়েছিলেন স্পোর্টিং লিসবনের বয়সভিত্তিক দলের ডাক্তার হিসেবে। পরে আস্তে আস্তে মূল দলের দায়িত্ব পান ভারান্দাস। মোনাকোর সাবেক কোচ লিওনার্দো জার্ডিম মাঝে বহু চেষ্টা করেছিলেন তাঁকে মূল চিকিৎসক হিসেবে মোনাকোয় আনার জন্য। পারেননি। পরে প্রিয় স্পোর্টিংয়ের সভাপতিও হয়েছেন ভারান্দাস। করোনার কারণে সেই সভাপতির কাজ বাদ দিয়ে এখন আবারও চিকিৎসায় নেমে যেতে চাইছেন এই কুশলী ডাক্তার।

করোনাভাইরাসে ৭৮৫ জন আক্রান্ত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার পর্তুগালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এরপরই দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চিকিৎসক পেশায় ফেরত যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ভারান্দাস। ৪০ বছর বয়সী সাবেক এই ডাক্তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমাদের পূর্বপ্রজন্ম ও বর্তমান প্রজন্মের জন্য সবার কিছু করা উচিত। আরেকটি অর্থনৈতিক সংকটের ভেতর তরুণ প্রজন্মকে ফেলা যাবে না। পর্তুগালের সবার জন্য যে যার জায়গা থেকে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। কেউ অসুস্থদের সেবা করছে, কেউ রুটি বানাচ্ছে, কেউ পর্তুগিজদের সতর্ক করছে, কেউ পর্তুগালের অর্থনীতি সচল রাখতে দিন-রাত খেটে যাচ্ছে।’

সবার সঙ্গে নিজেও করোনায় আক্রান্তদের পুনর্বাসনে সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন এই ডাক্তার, ‘আমি আমার দেশের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। আজ যখন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে তখন আবার ফিরে যাচ্ছি। যত দিন জরুরি অবস্থা চলবে তত দিন আমি এই পেশায় (চিকিৎসক) থাকব। পর্তুগালের যত দিন আমাকে দরকার হবে, তত দিন আমি পাশে থাকব।’

এমনিতেও করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতা স্থগিত আছে, খেলা হচ্ছে না। সভাপতি থেকেও ক্লাবের হয়ে তেমন কিছু করার সুযোগ নেই এখন। সে হিসেবে ভারান্দাসের এই সিদ্ধান্ত প্রশংসার দাবিদার।