বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজও স্থগিত হচ্ছে

আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ এখন অনিশ্চয়তায়। প্রথম আলো ফাইল ছবি
আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ এখন অনিশ্চয়তায়। প্রথম আলো ফাইল ছবি
>করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত ইংল্যান্ডে সব রকম পেশাদার ক্রিকেট বন্ধ রাখবে ইসিবি। মে মাসে হচ্ছে না বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ।

আগামী ২৮ মে পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে কোনো পেশাদার ক্রিকেট গড়াবে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এতে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেল আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ। অবশ্য করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বেরই যা পরিস্থিতি, তাতে বাংলাদেশ দলের আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সিরিজ স্থগিত হওয়াটা এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায়।

মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি), পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন ও ১৮টি প্রথম শ্রেণির কাউন্টি দলের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী অন্তত ৭ সপ্তাহ পরে মৌসুম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিবি। জুন, জুলাই কিংবা আগস্টে মৌসুম কীভাবে শুরু করা যায় তা নিয়ে অঙ্ক কষছেন ইসিবির বিশেষজ্ঞরা।

ইসিবি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টম হ্যারিসন বলেন, ‘এই অনিশ্চিত সময়ে ইসিবির প্রধান লক্ষ্য হলো ক্রিকেট পরিবার—তা খেলোয়াড়, ভক্ত থেকে সহকর্মী পর্যন্ত সবাইকে নিরাপদ রাখা। দেশ এখন যে পরিস্থিতিতে আছে তাতে মৌসুম দেরিতে শুরু করা প্রয়োজন ছিল। ২৮ মে-র আগে পেশাদার ক্রিকেট মৌসুম কোনোভাবেই শুরু করা যাচ্ছে না।’ এর আগে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে সিরিজও স্থগিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ দলের আয়ার‌ল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরটি যে আগামী মে মাসে হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেটি হ্যারিসনের এ কথাতেই স্পষ্ট। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বেলফাস্টে বাংলাদেশ দলের তিন ওয়ানডের সিরিজ শুরু হওয়ার কথা ১৪ মে। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই ইংল্যান্ডের তিনটি ভেন্যুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হওয়ার কথা ২২ মে থেকে, সিরিজ শেষ হওয়ার কথা ২৯ মে। ইসিবির ঘোষণার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজটি যে মে মাসে হচ্ছে না, এটি বলেই দেওয়া যায়। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর কথায় আভাস, স্থগিত হয়ে যাচ্ছে ওয়ানডে সিরিজটিও, ‘বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড সিরিজ সূচি নতুন করে তৈরি করছে। সহসাই হয়তো তারা এ ব্যাপারে ঘোষণা দেবে।’ নিজেদের মাঠ স্বল্পতার কারণেই ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড।

ইংল্যান্ডে পেশাদার ক্রিকেট স্থগিত হওয়ায় পিছিয়ে গেল কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম সাত রাউন্ডের ম্যাচও। এ ছাড়া ওয়ানডে টুর্নামেন্ট রয়্যাল লন্ডন কাপ শুরু হবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ আছে।