জেলে মাংস ঝলসে রোনালদিনহোর জন্মদিন

জেলখানায় বারবিকিউ পার্টিতে রোনালদিনহো। ছবি: টুইটার
জেলখানায় বারবিকিউ পার্টিতে রোনালদিনহো। ছবি: টুইটার
>

কাল ছিল রোনালদিনহোর ৪০তম জন্মদিন। জেলখানায় কেমন কাটল রোনালদিনহোর জন্মদিন?

৪০তম জন্মদিনটা অন্যরকমই কাটল রোনালদিনহোর।

এর আগে জন্মদিনগুলোয় নিশ্চয়ই খুব মজা করেছেন। পার্টি, হই-হুল্লোড় আরও কত কী! রোনালদিনহোর জীবনটাই তো এমন। প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর। কিন্তু এবার তা ঘটেনি। প্যারাগুয়ের জেলখানায় বন্দী হিসেবে ৪০তম জন্মদিন কাটল বিশ্বকাপজয়ী এ কিংবদন্তির।

জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে যাওয়ার অপরাধে এ মাসের শুরুতে ভাইসহ গ্রেপ্তার হন রোনালদিনহো। সংবাদমাধ্যম এর আগে জানিয়েছিল তাঁকে প্রায় ছয় মাস জেলখানায় থাকতে হবে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি হয়ে ওঠায় আরও বেশি সময় তাঁকে জেলে বন্দী থাকতে হতে পারে।

তবে কাল রোনালদিনহোর ৪০তম জন্মদিনটা একেবারে সাদামাটা কাটেনি। প্যারাগুয়ের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ব্যালন ডি'অর জয়ী সাবেক এ মিডফিল্ডারের জন্মদিনে বড়সড় এক উৎসবের আয়োজন করেছিল বাকি কয়েদিরা। হয়েছে বারবিকিউ পার্টি। ঝলসানো মাংসের বড় এক টুকরোসহ রোনালদিনহোর ছবি দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

বার্সেলোনা, এসি মিলান ও পিএসজির হয়ে মাঠ মাতানো এ ফুটবলার জেলে ঢোকার কিছুদিন পর সেখানে ফুটসাল টুর্নামেন্টেও অংশ নিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে জেলে থাকলেও একেবারে খারাপ কাটছে না ব্রাজিলের সাবেক তারকার জীবন। তবে সেরা সময়ের রোনালদিনহোর সঙ্গে তা কোনোভাবেই মেলানো যায় না। বার্সায় থাকতে জীবনের ২৬তম জন্মদিনে ভোর ৬টা পর্যন্ত নৈশক্লাবে ছিলেন রোনালদিনহো। এ ছাড়া ৩২তম জন্মদিনের উৎসব করেছিলেন পাঁচ দিনব্যাপী। রিও ডি জেনিরোয় একটি বিলাসবহুল হোটেলে।

তবে বরাবরের মতো এবারও জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন অন্যতম সেরা এ ফুটবলার। তাঁর জাতীয় দল সতীর্থ ও ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড রোনালদোর শুভেচ্ছা,‌ ‘অভিনন্দন বন্ধু! বরাবরের মতো আনন্দ নিয়েই জীবনের এ কঠিন সময় কাটিয়ে উঠবে বলে আশা করছি।'

রোনালদিনহোর বার্সা সতীর্থ স্যামুয়েল ইতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিখেছেন,‌ ‘শুভ জন্মদিন আমার ভাই। কী বলব বুঝতে পারছি না। তুমি আমার ভাই ও বন্ধু। জানিনা কীসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছ।’