বার্সেলোনাকে আশা দেখাচ্ছেন সুয়ারেজ

লা লিগা আবার মাঠে গড়ালে শুরু থেকেই থাকবেন সুয়ারেজ। ছবি: রয়টার্স/ টুইটার
লা লিগা আবার মাঠে গড়ালে শুরু থেকেই থাকবেন সুয়ারেজ। ছবি: রয়টার্স/ টুইটার

এমন কিছু হবে জানলে বার্সেলোনার ১৯ মিলিয়ন ইউরো হয়তো খরচ হতো না। জানুয়ারির দলবদলের পরও লেগানেস থেকে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে মার্টিন ব্রাথওয়েটকে এনেছে বার্সেলোনা। এ জন্য তাদের খরচ হয়েছে ১৮ মিলিয়ন ইউরো। বার্ষিক চুক্তিতে ২ মিলিয়ন ইউরো বেতন পাবেন এই স্ট্রাইকার। যেহেতু সবাই ধরেই নিয়েছেন, জুনেই তাঁকে ছেড়ে দেবে বার্সেলোনা সে ক্ষেত্রে অর্ধ মৌসুমের জন্য ১ মিলিয়ন খরচ হবে বলেই ধারণা সবার।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই ১৯ মিলিয়নকেই অপচয় বলে মনে হতে পারে বার্সেলোনার। এখন পর্যন্ত বার্সেলোনার জার্সিতে ১২৮ মিনিট খেলেছেন ব্রাথওয়েট। খারাপ খেলেননি। তবে কোনো গোল বা গোলে সরাসরি সহায়তা করেননি। এরপরই করোনাভাইরাস লা লিগা থামিয়ে দিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে খেলা শুরু হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাস মে মাসে লিগ শুরু করতে পারবেন এমনটা আশা দেখছেন। যদিও বাস্তবতা হয়তো ভিন্ন। তবে যখনই শুরু হোক লিগ, বার্সেলোনার জার্সিতে তত দিনে মাঠে থাকবেন লুইস সুয়ারেজ।

উরুগুয়ের স্ট্রাইকারের চোটই বার্সেলোনাকে বাধ্য করেছে ১৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে। জানুয়ারিতেই চোট পেয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। তাঁর শূন্যস্থান উসমান দেম্বেলেকে দিয়ে পূরণ করার কথা ভেবেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে সেই দেম্বেলেই চোট পেয়েছেন ফেব্রুয়ারিতে। এ কারণেই ওভাবে লেগানেসকে খেপিয়ে দিয়ে ব্রাথওয়েটকে টেনে আনে বার্সেলোনা।

এদিকে সুয়ারেজ জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাসের কারণে পাওয়া এই বাড়তি সময়টা দারুণ কাজে লেগেছে তাঁর, ‘আমার পুনর্বাসন যেভাবে সামলেছি তাতে আগেভাগে ফেরার সম্ভাবনা ছিল। প্রথম থেকেই সে সম্ভাবনা ছিল। আমার চিকিৎসক বলেছেন, আমি খুব ভালো করছি এবং আমাকে আশা দেখাচ্ছেন যত দ্রুত সম্ভব আমি ফিরতে পারব। এখন একটাই পার্থক্য, আর সেটা হলো দল যখন মাঠে নামবে তখন আমিও নামব।’

সুয়ারেজের ক্ষেত্রে ‘সব ভালো যার, শেষ ভালো তার’ ঘটতে যাচ্ছে। অস্ত্রোপচার মৌসুমের শেষে হওয়ার কথা থাকলেও ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এগিয়ে এনেছিলেন সেটা। তখন বাকি মৌসুম শেষ হয়ে যাবে ভাবা হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতি তাঁকে বড় সুযোগ এনে দিয়েছে, ‘মে মাসের শুরুতে করার কথা ছিল। কিন্তু যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম তাতে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে আগেই করেছি। আমাকে যা করতে বলা হয়েছে তার সবই করেছি আমি এবং ধারণার চেয়ে আগে আমি শক্তি ফিরে পাচ্ছি।’

নিজের পুনর্বাসন নিয়ে তৃপ্ত হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবাইকে সাবধান থাকতে বলছেন সুয়ারেজ, ‘আমাদের সাবধান হতে হবে,বাস্তববাদী হতে হবে। কারণ মানুষ এখন ফুটবল দেখার অপেক্ষায় নেই। তারা কবে বাড়ি থেকে বেরোতো পারবে, ভয় ছাড়া একটু আনন্দ করতে পারবে, বাচ্চাদের নিয়ে পার্কে যেতে পারবে এবং জীবন উপভোগ করতে পারবে, তার অপেক্ষায়।’