ভারতীয় গায়িকার কারণে বিপদে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা

কনিকা কাপুরের জন্যই শঙ্কায় আছেন ডি কক রা। ছবি : এএফপি
কনিকা কাপুরের জন্যই শঙ্কায় আছেন ডি কক রা। ছবি : এএফপি
>

করোনাভাইরাস-আতঙ্কে ভারত সিরিজ বাতিল করেও বোধ হয় রক্ষা পেল না দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা। ভারতীয় গায়িকা কনিকা কাপুরের কাছ থেকে গোটা স্কোয়াডে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে

‘বেবি ডল’ গানটা শুনেছেন?

বেশ কয়েক বছর আগে হিন্দি এই ‘আইটেম গান’ টা বেশ জনপ্রিয় ছিল। সানি লিওনির ওপর চিত্রায়িত এই গানের মূল শিল্পী ছিলেন কনিকা কাপুর। সেই কনিকা কাপুর এখন ‘কোভিড-১৯ পজিটিভ’। তবে আসল খবর সেটা না। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কনিকা নিজে সংক্রমিত হয়ে গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের মধ্যেই তা ছড়িয়ে দিয়েছেন কিনা।

ঘটনাটা খুলে বলে যাক। করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে ভারত থেকে কোনো ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা। কিন্তু ভারত ছাড়লে কী হয়েছে? করোনা-আতঙ্ক তো ঠিকই পিছু তাড়া করছে তাদের! ভারত থেকে ফেরার দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের সবাইকেই গৃহবন্দী থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে অন্য কেউ তাঁদের সংস্পর্শে আসতে না পারে। কিন্তু তারা যদি আগেই সংক্রমিত হয়ে থাকেন!

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা লক্ষ্ণৌয়ের যে হোটেলে উঠেছিলেন, সে হোটেলে ছিলেন সদ্য লন্ডন-ফেরত কনিকাও। লন্ডন থেকে ভারতে ফেরার পর গৃহবন্দী থাকা তো দূরে থাকা, উল্টো বিভিন্ন পার্টি-অনুষ্ঠানে ঘুরে বেড়িয়েছেন এই গায়িকা। শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করা সত্ত্বেও কাউকে এ ব্যাপারে কিছু জানাননি তিনি। সমালোচনার মুখে পড়ে পরে নিজেই জানিয়েছেন মুম্বাই বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্রিনিং-এর মাধ্যমে পরীক্ষার পর তিনি ছাড়া পেয়েছিলেন। তবুও কনিকার এই খামখেয়ালিপনা মানতে পারছেন না কেউ।

জানা গেছে, গত ১৪ থেকে ১৬ মার্চ ডি কক-ডু প্লেসিদের সঙ্গে লক্ষ্ণৌয়ের তাজ হোটেলে ছিলেন কনিকা। একটা পার্টিতেও অংশ নিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গেও তাঁকে মেলামেশা করতে দেখা গেছে, এটা নিশ্চিত করেছে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ। কিন্তু মেলামেশার মাত্রাটা ঠিক কতটুকু ছিল, কেউ নিশ্চিত নয়। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে, হোটেলের বুফেতে খাওয়া, অতিথিদের সঙ্গে আলাপচারিতা করা, অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া, সবকিছুই করেছেন কণিকা। আর এই খবরেই রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেন না হয়, সে জন্য আগামী দুই মাস সব ক্রিকেট-কার্যক্রম স্থগিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এখন গোটা দক্ষিণ আফ্রিকান স্কোয়াডই যে বিপদের মুখে!