পাকিস্তানের মানুষ এত অসচেতন, ক্ষুব্ধ শোয়েব

পাকিস্তানিদের অসচেতনতা রাগিয়ে দিচ্ছে শোয়েবকে। ছবি : এএফপি
পাকিস্তানিদের অসচেতনতা রাগিয়ে দিচ্ছে শোয়েবকে। ছবি : এএফপি
>

পাকিস্তানের মানুষের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার। তাঁর অভিযোগ, করোনাভাইরাস নিয়ে একেবারেই সচেতন নন তারা

দৃশ্যটা হতভম্ব করে দিয়েছে শোয়েব আখতারকে। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস করোনা-আতঙ্কের এই সময় কোনো প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। সেদিন একটা জরুরি কাজে বেরিয়েই তাঁর চোখে পড়েছে দৃশ্যটা—একটা মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছে চার ব্যক্তি। আখতারের কথা, ‘এরা এমন একটা সময়ে এটা কীভাবে করতে পারে?’ কেবল তা-ই নয়, করোনা-আতঙ্কের সময়ে সারা দুনিয়ার মানুষ যেখানে নিজেদের ঘরবন্দী করে রাখছে, সেখানে পাকিস্তানের মানুষ কেন এসব ব্যাপারগুলো পরোয়া করছে না, আখতারের ক্ষোভ এসব নিয়েই।

এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস পৃথিবীময় কেড়ে নিয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ। আড়াই লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এমন ভয়ংকর ছোঁয়াচে ভাইরাসে। সারা দুনিয়া থমকে গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য, দৈনন্দিন কাজকর্মও অনেকটাই বন্ধ। খেলার দুনিয়াতেও স্থবিরতা, এমন একটা সময়ে পাকিস্তানের মানুষ দল বেঁধে চলাচল করছে, রেস্তোরাঁয় বসে আহার করছে, এমনকি দল বেঁধে বেড়াতেও যাচ্ছে—ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছেন না পাকিস্তানের এই সাবেক ফাস্ট বোলার।

নিজের ইউটিউবে পোস্ট করা এক ভিডিওতে শোয়েবর কণ্ঠে স্পষ্ট বিরক্তি, ‘আমি একটা জরুরি কাজে সেদিন বাইরে গিয়েছিলাম। আমার গাড়ির কাচ নামাইনি, কারও সঙ্গে সেদিন হাত মেলাইনি, মোলাকাত করিনি। কিন্তু আমি দেখলাম একটা মোটরসাইকেলে করে চারজন মানুষ যাচ্ছে। তারা পিকনিক করতে যাচ্ছে। সত্যি এরা অদ্ভুত। অবাক হয়ে দেখছি শহরের বেশির ভাগ রেস্তোরাঁই খোলা। সেখানে মনের আনন্দে দল বেঁধে মানুষ খেয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে অজস্র মানুষ। এরা এত অসচেতন কেন? করোনার হুমকিটা পাকিস্তানের মানুষ মোটেও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।’

তিনি প্রতিবেশী ভারতের প্রশংসা করেছেন তাঁর ভিডিওতে, ‘ভারতের মানুষ কারফিউয়ের মতো করেই ঘরে থাকছে। সরকারি সিদ্ধান্ত তারা আনন্দের সঙ্গে মেনে নিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানে আমরা এগুলো পারছি না। মানুষের ভ্রমণই বন্ধ করতে পারছি না আমরা। যদিও অনেক কিছুই বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু পাকিস্তানের মানুষ তো ঘরেই থাকতে চায় না।’

শোয়েব ইমরান খানের সরকারকে দ্রুতই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের মানুষের প্রতি আরজি জানিয়েছেন, করোনা নিয়ে কোনো গল্পগাথা বা মনগড়া ধারণা পোষণ না করার, ‘আমি ইমরান খানের সরকারকে অনুরোধ করব তারা যেন দ্রুততার সঙ্গে গোটা পাকিস্তানকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। খুব দরকারি কাজ ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না যায়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর সাধারণ মানুষকে বলব, এটা ভয়ংকর ছোঁয়াচে একটা ভাইরাস। নিজস্ব ধারণা নিয়ে বসে থাকলে হবে না। তরুণদের করোনা হয় না—এটা পুরোপুরি ভুল কথা।’