অলিম্পিকে দল পাঠাবে না কানাডা

কানাডা অলিম্পিক দলের দুই সদস্য। ছবি : টিম কানাডা টুইটার পেজ
কানাডা অলিম্পিক দলের দুই সদস্য। ছবি : টিম কানাডা টুইটার পেজ
>করোনাভাইরাসের কারণে টোকিও অলিম্পিক থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে কানাডিয়ান অলিম্পিক কমিটি।

টোকিও অলিম্পিক পূর্বনির্ধারিত সময়ে শুরু হবে না পিছিয়ে যাবে তা নিয়ে এখনো সংশয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চার সপ্তাহের সময় নিয়েছে সংস্থাটি। তবে এ সব সংশয়ের ধারেকাছে দিয়েও গেল না কানাডা। দেশটির অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটি আইওসিকে জানিয়ে দিয়েছে জুলাইয়ের অলিম্পিকে কানাডা অংশ নেবে না। কারণ হিসেবে দেশটি বলেছে করোনাভাইরাসের এই সময়ে অ্যাথলেটদের অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

কানাডার এই সিদ্ধান্তের কিছু সময় পরেই জাপানের পার্লামেন্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে প্রথমবারের সংশয় প্রকাশ করেছেন গেমস সময়মতো হবে কি না তা নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক কমিটিও বলেছে এটা পরিষ্কার যে অলিম্পিক সময় মতো হবে না। গেমস শুরু হওয়ার কথা ২৪ জুলাই থেকে।

এক যৌথ বিবৃতিতে কানাডার অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটি নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে বলেছে, ‘এই গেমসকে সামনে রেখে অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া আমাদের অ্যাথলেটদের জন্য নিরাপদ নয়। এই সময়ে অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া মানে তাঁদের পরিবার ও কানাডার বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলা। সব কানাডীয়কে যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে সেটিরও বিরুদ্ধে যায় এটি (অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া)। স্থগিত করার কী জটিলতা তা আমরা বুঝি, তবে আমাদের অ্যাথলেট ও সারা বিশ্বের সব মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার চেয়ে আর কিছু অগ্রাধিকার পেতে পারে না।’

কানাডীয়রা পরে নিজেদের টুইটার পেজে একটি মেসেজও টুইট করে। যেখানে লেখা, ‘আজ স্থগিত। কাল বিশ্বজয়।’

এদিকে জাপানের পার্লামেন্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছে গেমস স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও একেবারে বাতিল হয়ে যাবে না বলেই তাঁর বিশ্বাস। বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া আর কখনোই গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক বাতিল হয়নি। অলিম্পিক সর্বশেষ বাতিল হয়েছে ১৯৪০ সালে। সেই বারও অলিম্পিকের ভেন্যু ছিল টোকিও, পরে ভেন্যু পাল্টালেও আয়োজন করা যায়নি সেই অলিম্পিক।