এখন বাংলাদেশ থেকে চীনে যাচ্ছেন তাঁরা

শাহনেওয়াজ আহমেদ ও ইসরাত রুমা দম্পতি (যখন ঢাকায় ছিলেন)। ছবি: সংগৃহীত
শাহনেওয়াজ আহমেদ ও ইসরাত রুমা দম্পতি (যখন ঢাকায় ছিলেন)। ছবি: সংগৃহীত
>

করোনাভাইরাস আতঙ্কে চীন থেকে বাংলাদেশে ফিরেছিলেন। এখন আবার চীনে ফিরতে শুরু করেছেন তারা।

চীনের বিভিন্ন টেনিস একাডেমিতে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ২৫ জন বাংলাদেশি সাবেক টেনিস খেলোয়াড়। বেইজিং, সাংহাই, গুয়াংজু উংদুন, ডংজুয়ানে বসবাস করেন তারা। করোনাভাইরাস আতঙ্কে তাদের অধিকাংশ ফিরে এসেছিলেন বাংলাদেশে। এখন চীনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আর বাংলাদেশের অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিজেদের কর্মস্থল চীনে ফিরতে শুরু করেছেন তারা।

করোনাভাইরাস আতঙ্কে চীন থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক টেনিস খেলোয়াড় শাহনেওয়াজ আহমেদ ও ইসরাত রুমা দম্পতি। শুক্রবার চীনে ফিরেছেন তারা। এই দম্পতির সঙ্গে একই ফ্লাইটে ফিরেছেন আরেক সাবেক খেলোয়াড় শুয়ে শুয়ে। এ ছাড়া তাদের আগেই সাফিনা লাক্সমি, নাইমুল ইসলাম, মাকসুদুল করিম, সাব্বির আহমেদসহ অনেকেই ফিরে গিয়েছেন।

২০১৭ সালে চীনে পাড়ি জমানো শাহনেওয়াজের ব্যক্তি মালিকানায় সাংহাইয়ে একাডেমি আছে তিনটি। চীনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে ওঠার পর একাডেমি ছুটি দিয়ে জানুয়ারির শেষ দিকে দেশে ফিরে এসেছিলেন। প্রায় দুই মাস শেষে অবস্থার উন্নতি দেখে আবার ফিরছেন তারা। বিমানবন্দরে নানা পরীক্ষা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে তবে উঠেছেন সাংহাইয়ের বাসায়। নিয়মানুযায়ী পরিবার নিয়ে এখন ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে শাহনেওয়াজকে ,‘বিমানবন্দরে বেশ কয়েকবার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়েছে, রক্ত পরীক্ষাও করা হয়েছে । এর পরে আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা শেষে তারা আমাদের ‘গ্রিন জোন’ এর ছাড়পত্র দেন। তবে বলে দেওয়া হয়েছে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না। ’

শাহনেওয়াজ শনিবার চীনে ফিরলেও স্থানীয় কোচদের অধীনে তাঁর একাডেমি কার্যক্রম শুরু হয়েছে আরও দুই সপ্তাহ আগে। তাদের সঙ্গে এখনই একাডেমির অনুশীলনে যোগ দিতে পারছেন না,‘ বাসা থেকে বের হলে প্রতিবেশীরা অভিযোগ জানালে জরিমানা দিতে হবে। তিন দিনে একবার অনলাইনে খাবারের অর্ডার করা যাবে।’

শাহনেওয়াজদের একদিন আগে চীনে পৌঁছেছেন সাফিনা লাক্সমি ও নাইমুল। নিজেদের কর্মস্থল শহর গুয়াংজুতে ফিরলে এখন স্থানীয় কোয়ারেন্টিনে আছেন তারা। তাঁর বড় চাচা জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘লাক্সমি ও নাইমুল একই ফ্লাইটে চীনে পৌঁছেছে। বিমানবন্দরের বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে তাদের কিছু নির্দেশনা দিয়ে ছাড়া হয়। লাক্সমি এখন গুয়াংজুতে স্থানীয় কোয়ারেন্টিনে আছে। সেখানে এক সপ্তাহ থাকার পরে বাসায় ফিরবে।’